Offbeat Darjeeling: ডেলো পাহাড় থেকে কাছেই কালিম্পংয়ের এই সুন্দরী গ্রাম, জীবন এখানে রোমাঞ্চে ভরা

কলকাতায় তো একেবারে চাঁদি ফাটা গরম। অন্যদিকে গরমের ছুটিও এগিয়ে আসছে। পাহাড়ে যাওয়ার কথা ভাবছেন নাকি? সেক্ষেত্রে কালিম্পংয়ের ফিক্কালে গাঁওয়ের কথা ভাবতে পারেন। অত্যন্ত সুন্দর জায়গা। প্রকৃতি যেন উজাড় করে দিয়েছে পাহাড়ের এই গ্রামকে।

কালিম্পংয়ের এই জায়গায় পর্যটকদের আনাগোনা অনেকটাই কম।জায়গার নাম ফিক্কালে গাঁও( fikkalay Gaon)। এনজেপি থেকে দূরত্ব প্রায় ৮৫ কিমি। কালিম্পং পাহাড়ের কোলে ছোট্ট গ্রাম।কালিম্পং থেকে মাত্র ১০ কিমি দূরে। মাত্র ৩-৪ কিমি দূরে ডেলো পাহাড়। ডেলো পাহাড়ের নাম শুনলে কি আপনার অন্য কিছু মনে পড়ে যায়? তবে বেড়াতে বেরিয়ে ওসব মিটিংয়ের কথা না মনে আনাই ভালো। মন ভরে বেড়ান। মন ভরে দেখুন পাহাড়কে।

হোম স্টেতে বসেই দেখতে পারেন কাঞ্চনজঙ্ঘা। কিন্তু এখানে এলেই যে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে পাবেন এমনটা নয়। কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা কিন্তু ভাগ্যের ব্যাপার। একাধিক ম্যাজিক কাজ করলে তবে কাঞ্চনজঙ্ঘা দর্শন।

তবে ফিক্কালে গাঁওয়ের একাধিক হোম স্টে-তে বর্তমানে ওয়াইফাই রয়েছে। যারা ভাবছেন ওয়ার্ক ফ্রম হোম স্টে করতে চান তাঁরাও আসতেই পারেন। তবে সবক্ষেত্রে আগে বুক করে যাবতীয় ব্যবস্থা জেনে নিয়ে তারপরই আসতে পারেন। তবে ফিক্কালে গাঁও বলে নয়, পাহাড়ের একাধিক হোম স্টেতে বর্তমানে ওয়াই ফাই রয়েছে। ফিক্কালে গাঁও থেকে কিছুটা এগোলেই ভিউ পয়েন্ট। সেখান থেকে তিস্তা, রংপো বাজার, কালিম্পং, দার্জিলিং সবটা দেখতে পাবেন। আকাশ পরিষ্কার থাকলে আর ভাগ্য সহায় থাকলে আপনি কাঞ্চনজঙ্ঘাও দেখতে পাবেন।

সকালে উঠেই বেরিয়ে পড়ুন গ্রামের পথ ধরে।নির্জন পথ ধরে হাঁটতে থাকুন। এখানে রয়েছে অপূর্ব এক মনাস্ট্রি। এখানে এলে যে শান্তি পাবেন তা সারাজীবন সঙ্গী হয়ে থাকবে। কাছেই একটি হনুমান মন্দিরও রয়েছে।

কিন্তু এখানে এলে ডেলো পাহাড়টা মিস করবেন না। কাছেই রয়েছে কালিম্পং সায়েন্স সেন্টার।সন্তানকে নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন একবার। ডেলোতে প্যারা গ্লাইডিংয়ের সুবিধা আছে। এখানে মিডিয়াম ও হাই ফ্লাইয়ের সুবিধা রয়েছে। দু তিন ধরনের রেট রয়েছে। আকাশে উড়ে পাখির চোখে দেখতে পাবেন গোটা পাহাড়কে। পাহাড়ের উপর উন্মুক্ত জায়গা থেকে শুরু হয় প্যারাগ্লাইডিং। একবার যাঁর এই অভিজ্ঞতা হয়েছে তার বার বার চাপতে ইচ্ছা করবে। মনে পড়ে যাবে সেই দেবের টনিক সিনেমার কথা। 

কীভাবে যাবেন?

এনজেপি, বাগডোগরা বা শিলিগুড়ি থেকে সোজা গাড়ি ভাড়া করে চলে আসতে পারেন ফিক্কালে গাঁও। তবে পয়সা বাঁচাতে চাইলে সরকারি বাসে চলে আসতে পারেন কালিম্পং। সেখান থেকে শেয়ার গাড়িতে চলে আসতে পারেন ফিক্কালে গাঁও।