Election Commissioner: নির্বাচন কমিশনারের নিয়োগের বিরুদ্ধে আবেদন,শুনানিতে বিরত থাকলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা

আব্রাহাম থমাস

নির্বাচন কমিশনার অরুণ গোয়েলের নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে পিটিশন দাখিল করা হয়েছিল। গত মার্চ মাসে তাঁর নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল তবে সেই নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ করে করা পিটিশন শুনতে রাজি হল না সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের বেঞ্চ। 

এদিকে আগেই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশনার ও মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ সংক্রান্ত যে কোনও বিষয় একটি স্বাধীন প্যানেল দেখবে। সেই প্যানেলে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী, দেশের প্রধান বিচারপতি ও লোকসভার বিরোধী দলনেতা।

এদিকে গত ১৯ নভেম্বর অরুণ গোয়েলকে নির্বাচন কমিশনার হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছিল। আর তখন থেকেই এনিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে।  গোয়েল ছিলেন একেবারে কনিষ্ঠতম প্রার্থী। তাঁকেই এই পদে কেন বসানো হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে। এরপর অ্য়াসোসিয়েশন অফ ডেমোক্র্যাটিক রিফর্ম এনিয়ে নতুন করে পিটিশন দাখিল করেছিল। তাঁদের তরফে অভিযোগ তোলা হয়েছিল গোয়েলের নিয়োগের গোটা বিষয়টি একপেশে।

এদিকে কিছুক্ষণের জন্য এই শুনানিতে অংশ নিয়ে বিচারপতি কেএম যোশেফ  ও বিভি নাগারত্নের বেঞ্চ জানয়িেছিলেন, হয়তো কিছুটা তাডা়হুড়ো করে এই নিয়োগ হতে পারে বা আপনারা যা সব বলছেন।  কিন্তু গোয়েলের নিয়োগকে প্রশ্ন তুলে কোনও নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে না। 

এদিকে অ্য়াডভোকেট প্রশান্ত ভূষণ প্রশ্ন তুলেছিলেন, ১৯৮৫ ব্যাচের ১৬০জন আইএএস আধিকারিক ছিলেন।  কয়েকজন আবার গোয়েলের থেকেও কনিষ্ঠ। কিন্তু তাদেরকে এই পোস্টের জন্য নিয়োগ করা হল না। যেভাবে সরকার গোয়েলকে নিয়োগ করার জন্য কাজ করছিল তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। 

বিচারপতিদের বেঞ্চ জানিয়েছে, একটি সাংবিধানিক অফিসে কাউকে নিয়োগ করা হয়ে গেলে গোটা বিষয়টি অন্যরকম হয়ে যায়। এই নিয়োগের কারণে আপনি বলতে পারেন না যে তিনি এখন স্বাধীন একজন আধিকারিক আর থাকবেন না, তিনি সরকারের জো হুজুর আধিকারিক হয়ে যাবেন। নিয়োগ নিয়ম মেনে হয়েছে। যেখানে একটি সিস্টেম রয়েছে সেখানে আপনি এই পয়েন্টের বিরুদ্ধে যেতে পারেন না।