Gujarat train catches fire: গুজরাটে ট্রেনে ভয়াবহ আগুন, পুড়ে গেল তিন কামরা, রহস্য চরমে

সোমবার বিকালে গুজরাটে আচমকাই ট্রেনে আগুন। বোটাড় রেল স্টেশনে ট্রেনটি দাঁড়িয়েছিল। আচমকাই সেই ডেমু ট্রেনে আগুন ধরে যায়। কিন্তু কীভাবে ট্রেনটিতে আগুন ধরে গেল সেটা বোঝা যায়নি। ডিভিশনাল কমার্শিয়াল ম্যানেজার মাসুক আহমেদ সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, এনিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। কীভাবে ট্রেনে আগুন লেগেছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

তবে রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ট্রেনে আগুন ধরলেও কেউ জখম হননি। ট্রেনটি রোজ সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ ছাড়ে। ট্রেনটিতে কেউ ছিলেন না। সেই সময়ই আচমকা তাতে আগুন ধরে যায়। কিন্তু কীভাবে ট্রেনে আগুন লাগল সেটা ঠিক জানা যায়নি।

মিউনিসিপ্যালিটি ফায়ার অফিসার রাজু ধাধাল জানিয়েছেন, ৩.৪৫ মিনিট নাগাদ ট্রেনের তিনটি কোচে আগুন লেগেছিল। তিনটি দমকলের ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর কাজ করে। বিকাল ৪.২৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়। তবে আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি।

এদিকে কেরলে সম্প্রতি একটি চলন্ত ট্রেনে আগুন ধরানো হয়েছিল। কুন্নুর এক্সপ্রেসে আগুন লাগানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। পেট্রল ঢেলে আগুন ধরানো হয়েছিল। যাত্রীরা চেন টেনে ট্রেন থামায়। তবে ট্রেনটি একটি ব্রিজের মাঝে থেমে যায়। এরপর যাত্রীরা ট্রেনের দরজা বন্ধ করে দেয় যাতে কেউ ট্রেন থেকে নদীতে ঝাঁপ দিতে না পারে। কারণ তাতে আরও বিপদ হতে পারত।

কেরলে ট্রেনে আগুন ধরানো নিয়ে এডিজিপি এমআর অজিত কুমার জানিয়েছেন, অভিযুক্ত ব্যক্তির কাছ থেকে নানা ভিডিয়ো পাওয়া গিয়েছে। সে অত্যন্ত চরমপন্থী মনোভাব পোষন করছে। তবে ট্রেনে আগুন ধরানোর পেছনে ঠিক কী কারণ রয়েছে তা নিয়ে তিনি খোলসা করে কিছু বলতে চাননি। ওই যুবক স্থানীয়দের কাছ থেকে কোনও সহায়তা পেয়েছেন কি না তা নিয়ে তিনি কিছু জানাতে চাননি।

এডিজিপি জানিয়েছেন, আমরা তার যাতায়াতের বিস্তারিত বিবরণ পেয়েছি। দিল্লি থেকে সে শোরনুরে এসেছিল। এরপর অপরাধ সংগঠিত করে ফিরেও যায়। তার ব্যাক গ্রাউন্ড অনুসারে জানা যাচ্ছে সে অত্য়ন্ত রাডিকালাইজড। জাকির নায়েক ও ইসার আহমেদের একাধিক ভিডিয়ো তার মোবাইল থেকে পাওয়া গিয়েছে। তবে তিনি অন্য কারোর কাছ থেকে সহায়তা পেয়েছেন কি না সেটা এখনই বলার সময় আসেনি।

এবার আগুন গুজরাটের ট্রেনে। কিন্তু কীভাবে ট্রেনে আগুন লাগল তা নিয়ে ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে।