AI image won award: বিশ্বসেরার পুরষ্কার নিতে নারাজ, নিছক রসিকতা করে AI-তে বানানো, জানালেন বিজেতা

এক নারীর পিছনে দাঁড়িয়ে আরেক নারী। সামনের জন তাঁকিয়ে কিছুটা উপরের দিকে, শূন্যে। পিছনের জন সামনের নারীর ঘাড়ে মুখ গুঁজে। এই গভীর ব্যঞ্জনাময় ছবিটিই আন্তর্জাতিক স্তরের পুরষ্কার জিতে নিয়েছে এবার। সোনি ইন্টারন্যাশনাল ফোটোগ্ৰাফি অ্যাওয়ার্ডসে মনোনীত হয়ে সেরার সেরা শিরোপা উঠেছে ছবিটির মাথায়। কিন্তু এখানেই একটা ছোট্ট গেরো। চলছিল সব ঠিক তালেই, সুর কাটলেন ছবিগ্ৰাহক। জার্মান ছবিগ্ৰাহক তথা শিল্পী বরিস এলড্যাগসন তার ওয়েবসাইট তিনি এই পুরস্কার নিতে পারছেন না। কেন? হঠাৎ কী হল? কারণটা শুনলে অবশ্য পাঠকরাও চমকে যাবেন। ছবিটা আসলে ক্যামেরাতে তোলাই হয়নি। পুরোটাই অত্যাধুনিক এআইয়ের কারসাজি!

সম্প্রতি এই ঘটনাই রীতিমতো ঝড় তুলেছে ছবির দুনিয়ায়। বিশ্বসেরা পুরষ্কার জেতার পর ছবিগ্ৰাহক বরিস তাঁর ওয়েবসাইটে লেখেন, তিনি একটু রসিকতার ছলেই ছবিটি প্রতিযোগিতায় পাঠিয়েছিলেন। সেটা যে প্রথম হবে ভাবেননি তিনিও। তবে এআইয়ের কারসাজিই এই প্রথম বিশ্বসেরার শিরোপা জিতে নিল, এই কথাও মনে করিয়ে দেন বরিস। বলেন, এআইয়ের কারসাজি আলাদা করা চেনার ক্ষমতা এই প্রতিযোগিতার আছে কিনা, তা দেখতেই এই কাজ করা। সে ক্ষমতা যে নেই, সেটাই প্রমাণিত হয়ে গেল বলে জানান তিনি। একইসঙ্গে বরিস বলেন, দিন বদলাচ্ছে। 

বরিস এলড্যাগসন আর্ট আকাডেমি অফ মেইনজ থেকে ফটোগ্ৰাফি ও ফাইন আর্টস নিয়ে পড়াশোনা করেছেন।  এরপর প্রাগের আকাডেমি অফ ফাইন আর্টস ইন্টারমিডিয়া নিয়ে পড়াশোনা ও শেষে হায়দ্রাবাদের সরোজিনী নাইডু স্কুল অফ আর্ট অ্যান্ড কমিউনিকেশন থেকে ফাইন আর্টস নিয়ে শিক্ষা।‌ এদিন ওয়েবসাইটে তিনি বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রায় সবেতেই জায়গা দখল করছে। শিল্পের জগত এই নিয়ে কিছু ভাবছে কী? এমন একটা তর্কের সূত্রপাত করে দেবে তাঁর বিশ্বসেরার শিরোপা জেতা ছবি, এমনটাই জানান বরিস। বরিসের কাজ নিছক রসিকতা হলেও এআই নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup