Jibankrishna Saha: মায়ের চোখে আদর্শ সন্তান জীবনকৃষ্ণ, ছেলের নাম শুনলেই চটে যাচ্ছেন বাবা

জীবনকৃষ্ণ সাহা। মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে তাকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এদিকে ছেলের গ্রেফতারির পরেই তার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন বাবা বিশ্বনাথ সাহা। তবে এবার মুখ খুললেন মা বেরারানি সাহা। তিনি অবশ্য ছেলের সুখ্য়াতিই করেন। এমনকী ছেলেকে একেবারে আদর্শ সন্তান হিসবে উল্লেখ করেন মা।

তিনি সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে বলছেন, আমার দুঃখ লাগছে। ছেলে যাতে ভালো থাকে সেটা চাই। ছেলে আমায় মাসে মাসে টাকা পাঠাত। আমি সেই টাকায় কেনাকাটা করতাম। ছেলে আমায় একমাস আগেও টাকা পাঠিয়েছে। ওর বাবা আমায় মারধর করে তাড়িয়ে দিয়েছিল। আমার কোলের তিন মাসের মেয়েকে কেড়ে নিয়েছে। ছেলে তখন সাত বছর বয়স। ছেলে বড় হয়ে আসা যাওয়া করে। বাবা ওদের দেখে না। কিছুই করল না। আমার ছেলে যাতে ভালো থাকে সেটাই চাইছি। আমার ছেলে অনেক কষ্ট করে ঘা খেয়ে মানুষ হয়েছে। কারোর ভালোবাসা পায়নি। বাবার ভালোবাসা পায়নি। সাত বছরের ছেলেকে রেখে এসেছিলাম।

জীবনকৃষ্ণের মা বর্তমানে খড়গ্রাম ব্লকের পারুলিয়া গ্রামে থাকেন। তিনি বলেন, আমার চোখে আদর্শ ছেলে জীবনকৃষ্ণ। অনেক কষ্ট করে জীবন বড় হয়েছে। কষ্ট কী জিনিস সে তা বোঝে। তাই আমি বিশ্বাস করি ও কখনও কারো কষ্টের কারণ হতে পারে না। ছেলের গ্রেফতারির পর থেকেই চোখে জল জীবনের মায়ের।

তবে বাবার গলায় আবার অন্য় সুর। তিনি জীবনের নাম শুলনেই তেলেবেগুনে জ্বলে উঠছেন। তিনি বলেন, এখন শুনছি ওর এই আছে। ওই আছে। আমাকে বলত, মারব ধরব। সাতদিন আগে আমায় **** বাচ্চা বলে গাল দিয়েছে। আমার উপর কেন রাগ বলতে পারব না। জোর করে আমার বাড়ি নিয়ে নিয়েছে। তবে ও পাওয়ারে আছে। কোর্টে গিয়ে মরব নাকি! তবে ও কী করেছে সেটা আমি জানি না। ও কী করেছে সেটা আমি জানি না। রাস্তায় গাড়ি লাগিয়ে দিত। আমায় ঢুকতে দিত না। এখন শুনছি ছেলে এই জায়গায় কিনেছে। ওখানে কিনেছে। এখন জানতে পারছি। এখানে ওদের দলের লোকজন রয়েছে। কোথায় কী করেছে তা আমি বলতে পারব না।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup