Death in space: মৃত্যুর পর মহাকাশে কেমন হয় ‘জীবন’, গ্ৰহে গ্ৰহে রকমফের, সবটা জানলে অবাক হবেন

মহাকাশে থাকা খাওয়া, ঘোরা, ধীরে ধীরে আমাদের জীবনের অঙ্গ হল বলে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন সংস্থা বাণিজ্যিকভাবে মহাকাশ ঘুরতেও নিয়ে যাচ্ছেন। এবার ভাবুন তো সেখানেই ঘরদোর করে বাকি জীবন কাটাবেন ভাবছেন। শেষে যদি মৃত্যুটাও সেখানে হয়? কেমন হবে মরণের পর আপনার মরদেহ? দেখে নেওয়া যাক কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

পৃথিবীতে মৃত্যু হলে মানবদেহ বিভিন্ন ধাপে পচতে শুরু করে। মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে মাধ্যাকর্ষণের ফলে দেহ যেদিকে থাকবে রক্ত প্রবাহ একদিকে হতে থাকে। এই প্রক্রিয়াকে লিভর মর্টিস বলে। এরপর অ্যালগর মর্টিসের কারণে মৃতদেহ ঠান্ডা হয়। এই সময়  পেশিতে প্রচুর ক্যালসিয়াম তৈরি হতে থাকে। ফলে পেশি শক্ত হয়ে যায়। একে বলে রিগর মর্টিস। 

এরপর ধীরে ধীরে এনজাইম ও প্রোটিনের রাসায়নিক বিক্রিয়াগুলি বাড়তে থাকে। কোষগুলি ভেঙে উপাদানগুলি বাইরে বেরিয়ে আসতে থাকে। এই সময়ে অন্ত্রের জীবাণু সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। কোমল টিস্যুগুলোকে ধীরে ধীরে‌ নষ্ট হয়ে পচে যায়। এর ফলে গ্যাস তৈরি মৃতদেহ ফুলতে শুরু করে। এছাড়াও বাইরের  তাপমাত্রা, পোকামাকড়, দেহকে কবর দেওয়া বা মোড়ানোর কারণে পচন দ্রুত হয়। তবে এই সবই পৃথিবীর গল্প।

মহাকাশের গল্পটা কিন্তু আলাদা। অভিকর্ষ টান নেই বলে  মানবদেহের লিভর মর্টিস পর্যায় অন্যরকম‌ হয়। রক্তপ্রবাহ এক্ষেত্রে একদিকে হয় না। মহাকাশে বাতাস, অক্সিজেন ও মাধ্যাকর্ষণের অভাবে ব্যাকটেরিয়া ঠিকভাবে কাজ করতে পারবে না। ফলে মরদেহ পচতে অনেকদিন লেগে যেতে পারে। 

মাটির জীবাণুও দেহ পচতে সাহায্য করে। কিন্তু মহাশূন্যে এসবের বালাই নেই। অতি শুষ্ক বলে নরম টিস্যু সংরক্ষিত থাকতে পারে অনেকদিন।  পৃথিবীর পরিবেশ থেকে ভিন্ন অবস্থায় মরদেহ পচন আলাদা অনেকটাই। এমনকী বিশেষজ্ঞদের কথায়, মানুষের হাড় হাজার বছর পর্যন্ত পৃথিবীতে টিকে থাকতে পারে। মহাকাশ বা অন্য কোনও গ্রহের গ্যাসের সংস্পর্শে উল্টো ঘটনাও ঘটতে পারে। মঙ্গলগ্রহের শুষ্ক মরুভূমির মতো অবস্থায় হাড়ের কঙ্কালের ক্ষতি হতে পারে। আবার আপনি যদি‌ বৃহস্পতিতে মৃত্যবরণ করেন, সেখানে কিন্তু কঙ্কাল যাবে উবে।  অর্থাৎ, মহাকাশে পৃথিবীর থেকে অনেকটাই আলাদা মৃত্যু পরবর্তী ‘জীবন’।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup