Heat stroke of stray dogs: প্রচন্ড গরমে একাধিক পথকুকুরের মৃত্যু,হিটস্ট্রোকের হাত থেকে কীভাবে রক্ষা করবেন ওদের?

ভয়ঙ্কর গরম। দুপুরে রাস্তায় বের হওয়া যাচ্ছে না। গলে যাচ্ছে রাস্তার পিচ। সেই অবস্থায় এবার হিট স্ট্রোকে একের পর এক সারমেয়র মৃত্যু। কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন ইতিমধ্যেই ৮৫টি কুকুরকে উদ্ধার করেছে যাদের মধ্যে হিট স্ট্রোকের লক্ষণ ছিল। তাদেরকে কোনও রকমে উদ্ধার করা হয়েছে। একাধিক কুকুরের রেসকিউ সেন্টারে আনার পথেই মৃত্যু হয়েছে।

যদি এমন পথকুকুরকে দেখেন যে প্রচন্ড গরমে কষ্ট পাচ্ছে তবে আপনি কি করবেন? কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন, পশু চিকিৎসক ও সারমেয় প্রেমীরা জানিয়েছেন, ঘরের বাইরে ওদের খাওয়ার জন্য একটু জল রেখে দিন। যদি দেখেন এমন কুকুর কষ্ট পাচ্ছে তবে ওকে ছায়ার জায়গা থেকে সরিয়ে দেবেন না।

পুরসভার স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, গত দু সপ্তাহ ধরে একের পর সারমেয়র প্রচন্ড গরমের জেরে মৃত্যু হয়েছে। একেবার ছটফট করতে করতে নিস্তেজ হয়ে পড়ছে। ধাপা পশু খামারের কাছে বার বার ফোন আসছে কোথাও হয়তো কুকুরটি অস্বাভাবিক আচরণ করছে, কোথাও আবার নাক, মুখ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে।

তবে আধিকারিকদের মতে, আমরা দ্রুত তাদের উদ্ধার করার চেষ্টা করছি। কিন্তু একাধিক ক্ষেত্রে পৌঁছনর আগে অথবা তাদের নিয়ে আসার পথে মৃত্য়ু হচ্ছে।

পিপলস ফর অ্যানিমালস-এর তরফে সংবাদমাধ্যমকে জানানো হয়েছে, গত এক সপ্তাহে অন্তত ৬টি পথকুকুরের মৃত্যু হয়েছে। নিউ মার্কেট, শ্যামবাজার এলাকায় তাদের মৃত্যু হয়েছে। অন্তত সাতটি পথকুকুরকে তারা রক্ষা করেছেন। তারা জানিয়েছেন, শহর জুড়ে কংক্রিটের জল রাখার পাত্র বসানোর ব্যাপারে তারা চেষ্টা করছেন।

পশু চিকিৎসকদের মতে, শুধু পথকুকুররাই নয়, এই সময় বাড়ির পোষা কুকুররাও অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। তাদের সম্পর্কেও সতর্ক হওয়া দরকার। কুকুরদের শরীরে জলশূন্যতা তৈরি হচ্ছে। তার সঙ্গে হিটস্ট্রোক। এর সাধারণ কিছু লক্ষণ হল পায়খানার সঙ্গে রক্ত পড়বে। নাক থেকে রক্ত বের হবে। প্রচন্ড জলশূন্যতা হবে। তাদের পর্যাপ্ত খাবার জল দেওয়া দরকার। ওআরএস দিয়ে ওদের জল দিতে পারলে অনেকটা সুবিধা হবে। কিছুটা স্বস্তি পাবে ওরা।