Abhishek Banerjee: ‘‌তৃণমূলে নব জোয়ার’‌ নয়া কর্মসূচি আনা হচ্ছে, বিষয়টি কেমন?‌ খোলসা করলেন অভিষেক

আগামী ২৫ এপ্রিল থেকে সংযোগ যাত্রা কর্মসূচি শুরু করতে চলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার তিনি নয়া কর্মসূচি নিয়ে এলেন। যার নাম, ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’। এই কর্মসূচি দু’টি ভাগে শুরু হচ্ছে। প্রত্যেকদিন হবে ‘জনসংযোগ’ এবং ‘গ্রাম বাংলার মতামত’। আজ, বৃহস্পতিবার নয়া কর্মসূচি উপলক্ষ্যে দু’টি লোগো এবং একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করা হয়েছে। ইদের পর থেকেই নির্বাচনী প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়বেন অভিষেক। কোচবিহার থেকেই শুরু হবে জনসংযোগ কর্মসূচি। তারপর সভা হবে মালদা, উত্তর দিনাজপুর এবং মুর্শিদাবাদেও। তাঁর এবারের বিশেষ নজর উত্তরবঙ্গে। তাই কোচবিহারে গিয়ে বেশ কয়েকদিন থাকবেন তিনি। আর ব্লকে ব্লকে এবং গ্রামে গ্রামে তিনি যাবেন। কথা বলবেন গ্রামের সাধারণ মানুষদের সঙ্গে।

কেমন হবে ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচি?‌ এই কর্মসূচির মাধ্যমে আলাদা করে বৈঠক করবেন অঞ্চল এবং বুথ সভাপতিদের সঙ্গে। দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে বিশেষ বার্তাও দেবেন তিনি। আর হবে পঞ্চায়েত প্রার্থী নিয়েও বিস্তর আলোচনা। এই বিষয়ে অভিষেক বলেন, ‘‌পঞ্চায়েত নির্বাচন উপলক্ষ্যে দু’‌মাসেরও বেশি সময় ধরে চলবে এই কর্মসূচি। কোচবিহারের দিনহাটা থেকে এই কর্মসূচি শুরু হবে। আর শেষ হবে দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার সাগর বা পাথরপ্রতিমাতে। প্রত্যেকদিন হবে প্রায় ৩ থেকে ৫টা সভা। কর্মসূচি শুরু হবে সকাল ১০টা থেকে।’‌ কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বঞ্চনা নিয়ে চিঠি সংগ্রহ কর্মসূচিও জনসংযোগ কর্মসূচি থেকেই চলবে। আর এপ্রিল মাসের ২৯ তারিখে অভিষেকের সভা আছে হুগলি জেলার আরামবাগে।

আর কী বলেছেন অভিষেক?‌ রাজ্যের প্রায় ৬০ হাজার পঞ্চায়েত বুথ এলাকায় গিয়ে জনসংযোগ করবেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘‌জনসংযোগের পর ক্যাম্প অধিবেশন হবে। সেখানে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে উপস্থিত থাকবেন বুথ সভাপতি এবং সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বরা। নৈশভোজের সঙ্গে রাত কাটবে মানুষের সঙ্গে। প্রত্যেক ক্যাম্পে জমায়েত হবে প্রায় ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার। এখানেই সাধারণ মানুষ ঠিক করবেন কাকে প্রার্থী হিসেবে তাঁরা দেখতে চান। তাঁদের মতামত নেওয়া হবে গোপন ব্যালট ভোটের মাধ্যমে। বুথ, সমিতি, জেলা পরিষদের প্রার্থী হিসেবে মানুষ যাকে চাইবেন তাঁকেই দল প্রার্থী করবে।’‌

তারপর সেখানে ঠিক কী হবে?‌ এখানে মানুষের নানা সমস্যাও দ্রুত মিটিয়ে দেওয়া হবে। বিষয়টি নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‌জেলা কমিটি থেকে আগেই এসেছে ‘উইশ লিস্ট’‌। তবে প্রাধান্য দেওয়া হবে মানুষ যাঁকে প্রার্থী হিসাবে চাইবেন। যিনি এলাকাবাসীর পাশে সর্বক্ষণ থাকেন এবং পরিষেবা দিতে প্রস্তুত, তাঁকেই প্রার্থী করা হবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে। রাস্তা–জল–আলো–হাসপাতাল–সহ পঞ্চায়েত এলাকার সামগ্রিক উন্নয়ন আনতে উদ্যোগ নেওয়া হবে। পঞ্চায়েত স্তরে আমূল পরিবর্তন আনতেই এই নয়া উদ্যোগ।’‌ কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদা, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম হয়ে জারি থাকবে এই কর্মসূচি।