BJP: বীরভূমে ‌বিজেপির পঞ্চায়েতের উপপ্রধান দলত্যাগ করলেন, শাহের সভার পর ভাঙন কেন?‌

বীরভূমের মাটিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সভা করতে এসেছিলেন। আর তাঁর সফরের ছ’দিনের মাথায় বীরভূম জেলায় বিজেপিতে দেখা গেল ভাঙন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে এমন ঘটনা নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ জেলায় বিজেপি পরিচালিত একমাত্র মল্লারপুর–১ পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সমীর লোহার দলত্যাগ করেছেন। ফেসবুক পোস্ট করে বিজেপি থেকে তিনি বিদায় নেওয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছেন। তাতে চরম অস্বস্তিতে পড়েছে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। তবে তিনি বিজেপি ছেড়ে কোথায় যাবেন সেটা খোলসা করেননি উপপ্রধান।

এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এখন তিহার জেলে। আসন্ন পঞ্চায়েত এবং লোকসভা নির্বাচনে বীরভূম জেলাকে তাক করেছে বিজেপি। তাই একুশের নির্বাচনের মতোই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা আসতে শুরু করেছে। খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ১৪ এপ্রিল সিউড়িতে সভা করেন। আর আগামী লোকসভা নির্বাচনে ৩৫টি আসনের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছেন তিনি। তারপর মমতার সরকার পড়ে যাবে বলে মন্তব্য করেন। অথচ দেখা গেল, ঠিক ছ’দিনের মাথায় তাঁদেরই দখলে থাকা জেলার একমাত্র পঞ্চায়েতের উপপ্রধান দলত্যাগ করলেন।

ঠিক কী লিখেছেন বিজেপির উপপ্রধান? সমীর লোহার ফেসবুক পোস্ট করে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন। আর‌ বিজেপির এই উপপ্রধান সেখানে লিখেছেন, ‘নামমাত্র পার্টিতে থাকা। তার থেকে না থাকা অনেক ভাল। তাই বিজেপি থেকে বিদায় নিলাম।’ কয়েকদিন আগে ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, ‘যদি কোথাও বোঝো তুমি অপমানিত বা অবহেলিত, সেখান থেকে নিজেকে সরিয়ে নাও। আত্মসম্মানই বড় সম্পদ।’ সুতরাং বিজেপিতে আত্মসম্মান পাওয়া যাচ্ছে না বলে তিনি আগেই বুঝিয়ে ছিলেন। এবার তাই তিনি সরে গেলেন।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ এই উপপ্রধানকে দেড় বছর ধরে দলের মিটিং মিছিলে ডাকা হচ্ছিল না। জেলার নেতাদের তিনি বিষয়টি জানিয়েও ছিলেন। ২০১১ সাল থেকে তিনি এখানে পার্টি করেছেন। মানসম্মান না মেলায় তিনি সরে গেলেন বলে সূত্রের খবর। এই বিষয়ে বিজেপির বোলপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সন্ন্যাসীচরণ মণ্ডল বলেন, ‘‌উনি ফেসবুকে দল ছাড়ার কথা লিখেছেন। লিখিতভাবে কিছু জানাননি। আর সব মিটিং–মিছিলে তো সবাই ডাক পান না। উনি হয়তো মনে করছেন, সব মিটিংয়ে ডাকা দরকার। উনি সাংগঠনিক বিষয় বোঝেন না।’‌ পাল্টা এলাকার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক অভিজিৎ রায় বলেন, ‘‌বিজেপির প্রতি মানুষের মোহভঙ্গ হচ্ছে। সেটা বুঝতে পেরে উপপ্রধান দলত্যাগ করলেন।’‌