Golden temple controversy: ক্ষমা চাইছি, স্বর্ণমন্দিরকাণ্ডে শান্তির আবেদন তরুণী ও তাঁর পরিবারের

ভি নাগপাল

গালে ত্রিবর্ণ পতাকা এঁকে পঞ্জাবের স্বর্ণ মন্দিরে প্রবেশ করছিলেন এক তরুণী। তাঁকে বাধা দেওয়া হয় বলে দাবি করেন তিনি। এনিয়ে সোশ্য়াল মিডিয়ায় কার্যত ঝড় ওঠে। এরপর সোমবার এসজিপিসি প্রেসিডেন্ট হরজিন্দর সিং ধামি এই গোটা ঘটনা নিয়ে শিখ সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে নানা ধরনের মন্তব্য করা হচ্ছে বলে দাবি করেন। এনিয়ে তিনি নিন্দাও করেছিলেন। সেই সঙ্গেই ভক্তদের তিনি মর্যাদা রক্ষা করার জন্য আবেদন জানিয়েছেন। তবে বুধবার ওই তরুণী ও তাঁর বাবা ক্ষমা চেয়েছেন ও শান্তির জন্য় আবেদন করেছেন। তাঁরা চাইছেন এনিয়ে আর যেন কোনও বিতর্ক বা আলোচনা না হয়। সম্প্রীতি রক্ষার প্রতি আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা। পাশাপাশি স্বর্ণমন্দির কর্তৃপক্ষের আচরণে তাঁরা অত্যন্ত সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

এদিকে একটি স্থানীয় খবরের চ্যানেলে তারা জানিয়েছিলেন, শিরোমণি গুরুদোয়ারা প্রবন্ধক কমিটি আমাদের কাছে এনিয়ে আগেই ক্ষমা চেয়েছেন।বয়স্ক মানুষরা এভাবে ক্ষমা চাওয়ায় সত্যি আমাদের খারাপ লাগছে। আমি যদি কিছু খারাপ কথা বলে থাকি সেজন্য ক্ষমা চাইছি।

তাঁর বাবা শনিবার জানিয়েছেন, অমৃতসরের ওয়াঘা সীমান্তে তারা গিয়েছিলেন। এরপর সেখান থেকে তাঁরা গোল্ডেন টেম্পলে যান। তিনি জানিয়েছেন, আমার মেয়ের কাছ থেকেই ভুল করে এই ভিডিয়ো বাইরে চলে এসেছিল। কিন্তু আমরা একেবারেই চাইনি এটা কাউকে শেয়ার করা হোক। এরপর কমিটির সদস্যরা অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে আমাদের সঙ্গে ব্যবহার করেছেন। আমি সকলের কাছে অনুরোধ করছি বিষয়টির এখানেই পরিসমাপ্তি করুন। আমার মেয়ের ভুলের জন্য সকলের কাছে আমি ক্ষমা চাইছি।

তবে ঠিক কী কারণে তাদের স্বর্ণ মন্দিরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছিল তা নিয়ে তাঁরা সরাসরি কিছু বলতে চাননি। এদিকে অন্য় একটি সূত্র বলছে তরুণীর সাজপোশাক, তার সঙ্গে তামাকজাত দ্রব্য থাকার জন্য তাঁকে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।

তবে তরুণীর বাবা জানিয়েছেন, তামাকের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। তাছাড়া আমাদের শরীরে তল্লাশিও করা হয়নি। তবে তাঁরা নানা ধরনের তামাকজাত দ্রব্য আমাদের দেখিয়েছিলেন। তাঁরা বলেছিলেন কীভাবে ভক্তদের কাছ থেকে সেগুলি পাওয়া যায় ও সেগুলিকে সরিয়ে ফেলা হয়।

তিনি সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীদের অনুরোধ করেছেন বিষয়টির এখানেই শেষ করা হোক। তাঁরা সম্প্রীতির পক্ষে।