Anubrata Mondal: জামিন মামলার শুনানি চাইলেন অনুব্রত মণ্ডল, দিল্লি হাইকোর্টে করলেন আবেদন

তিহাড় জেলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এখানে শরীর ভাল যাচ্ছে না। এই শারীরিক অসুস্থতাকে সামনে রেখেই জামিন চেয়ে যে আবেদন করা হয়েছে সেটার দ্রুত শুনানি চাইলেন অনুব্রত মণ্ডল। আর তাই তাঁর আইনজীবী বিষয়টি নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে নতুন করে আবেদন জমা দিলেন। এই জামিনের আবেদন মামলার দ্রুত শুনানি চাওয়া হয়েছে আবেদনে। বৃহস্পতিবার দিল্লি হাইকোর্টে নতুন করে এমনই আবেদন জমা পড়ল বলে খবর। তিহাড় জেলে আসার পর থেকেই নানা সমস্যায পড়তে হয়েছে তাঁকে। এখানে খাওয়া–দাওয়া থেকে শুরু করে ভাষাগত সমস্যা দেখা দিয়েছে। তার পর তিনি এখানে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।

এদিকে নিজের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে তিনি ফিরতে চান। কারণ এখানে নিজের ভাষা এবং খাওয়ার বিষয়টি ঠিকঠাক। তাতে শরীর ভাল থাকবে। তাছাড়া তিনি তো তদন্তে সহযোগিতা করেছেন। তাহলে কেন বাংলার জেলে রেখে তদন্ত করা যাবে না?‌ এমন প্রশ্নও তোলা হয়েছে আবেদনে। তাই আগের মতোই আসানসোল সংশোধনাগারে অনুব্রতকে রেখে তদন্ত করার আবেদন জানানো হয়েছে দিল্লি হাইকোর্টে। এবার এই আবেদন দিল্লি হাইকোর্ট গ্রহণ করেছে। আগামী সোমবার, ২৪ এপ্রিল অনুব্রত মণ্ডলের এই দুটি আবেদনেরই শুনানির দিন ধার্য করেছে দিল্লি হাইকোর্ট। তবে এবার জামিন মেলে কিনা বা নিজের রাজ্যে ফিরতে পারেন কিনা, সেটাই দেখার।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ আদালত সূত্রে খবর, গত ২৯ মার্চও দিল্লি হাইকোর্টে অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদন জানানো হয়েছিল। সেখানে দাবি করা হয়েছিল, ইডি সমস্ত নথি জমা দিচ্ছে না। তাই অযথা অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লিতে আটকে থাকতে হচ্ছে। ইডি তদন্তকারীদের বিরুদ্ধে সেই আবেদনে অভিযোগ তোলা হয়। তাই এবার অনুব্রতর জামিনের জোরদার আবেদন জানানো হয়। আগেরবার ইডি অনুব্রতের জামিনের বিরুদ্ধে জোরাল সওয়াল করলে তা খারিজ করে দেয় দিল্লি হাইকোর্ট। তখন আদালত নির্দেশ দেয়, আগামী ৭ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন জানানো হয়। আর ইডিকেও চার সপ্তাহের মধ্যে স্ট্যাটাস রিপোর্ট পেশ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। যদিও তা এখনও জমা পড়েনি।

তারপর ঠিক কী ঘটল?‌ ইতিমধ্যেই তিহাড় জেলে বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তাই আদালতের নির্দেশ মতো ৭ জুলাই পর্যন্ত তিহাড়ে থাকতে রাজি নন কেষ্ট। এই কথা তিনি তাঁর আইনজীবীকে জানিয়েছিলেন। আর দ্রুত জামিনের শুনানির কথা জানান। অনুব্রতর এমন পরিস্থিতি দেখে নতুন করে জামিন মামলার শুনানির আবেদন করা হয়। কয়েকদিন আগে অনুব্রত মণ্ডল শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন। এইসব কারণ দেখানো হয়েছে আবেদনে। আর আসানসোল সংশোধনাগারে রেখেই তদন্ত করা হোক বলেও পৃথক মামলা দায়ের করেছেন অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী। এখন দেখার জামিন মেলে কিনা।