Father Raped Daughter: তিন মেয়েকে লাগাতার ধর্ষণ করার অভিযোগ বাবার বিরুদ্ধে, আসানসোলে গ্রেফতার অভিযুক্ত

তিন মেয়েকে লাগাতার ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল তাদের বাবার বিরুদ্ধে। টানা পাঁচ বছর ধরে মেয়েদের ধর্ষণ করেছে সে বলে অভিযোগ। এই অভিযোগ পুলিশ পর্যন্ত গড়ালে অভিযুক্ত বাবাকে গ্রেফতার করা হয়। মেয়েদের ধর্ষণ করার ঘটনায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে আসানসোলের চিত্তরঞ্জন থানা এলাকায়। ধর্ষণকাণ্ডে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করলেও সে নির্বিকার ছিল। তবে পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে নির্যাতিতাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষাও করার ব্যবস্থা করেছে বলে খবর। আজ, শুক্রবার সকাল থেকে এটাই এলাকায় চর্চিত খবর।

ঠিক কী ঘটেছে চিত্তরঞ্জনে?‌ স্থানীয় সূত্রে খবর, গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তি পেশায় রেল ইঞ্জিন কারখানায় একজন শ্রমিকের কাজ করত। সাত বছর আগে তার স্ত্রী মারা যায়। আর তখন থেকেই এই তিন মেয়েকে লাগাতার ধর্ষণ করতে থাকে বাবা। এমনকী বেশি কথা বললে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় অভিযুক্ত। এই তিন মেয়ের মধ্যে দু’‌জন নাবালিকা। আর একজন প্রাপ্তবয়স্ক। এদের উপর পাঁচ বছর ধরে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত বাবা। আর এই কথা যাতে কেউ জানতে না পারে তার জন্য হুমকি দেওয়া ছিল। মাঝে মধ্যে কান্নার আওয়াজ বাড়ি থেকে আসলেও কেউ মুখ খুলত না।

পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে?‌ পুলিশ সূত্রে খবর, স্ত্রীর মৃত্যুর পর দ্বিতীয় বিয়ে করে এই অভিযুক্ত। কিন্তু তারপরও বাবার লালসার শিকার হতে থাকে তিন মেয়ে। গত শুক্রবার অভিযুক্ত বাবা তার তিন মেয়েকে ধর্ষণ এবং মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয় বলে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় এক সমাজসেবির সাহায্য নিয়ে বাবার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিন মেয়ে। বাড়ির বাইরে বেরতে পেরেই বাবার হাটে হাঁড়ি ভেঙে দেন তিন মেয়ে। তখন পুলিশের পক্ষ থেকে বিষয়টি জানানো হয় চাইল্ড লাইনেও। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

তারপর ঠিক কী ঘটল?‌ পুলিশ ও চাইল্ড লাইন কর্তৃপক্ষ ওই তিনজন মেয়েকে উদ্ধার করে। আর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে তার বিরুদ্ধে স্বেচ্ছায় আঘাত করা, মেয়েদের উপর বলপ্রয়োগ এবং পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই আলোড়ন পড়া বিষয়টি নিয়ে আসানসোল–দুর্গাপুর কমিশনারেটের ডিসি (পশ্চিম) অভিষেক মোদী বলেন, ‘এই অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নির্যাতিতাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষাও করা হয়েছে। এবার দোষী আইন অনুযায়ী শাস্তি পাবে।’‌