Supreme Court on Allegation against WFI Prez: যৌন হেনস্থার অভিযোগে WFI প্রধানের নামে FIR-এর আর্জি, পুলিশকে নোটিশ SC-র

ফের আন্দোলনে নেমেছেন ভারতীয় কুস্তি তারকারা। সাক্ষী মালিক, বজরং পুনিয়া, ভিনেশ ফোগাটরা যন্তরমন্তরে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন। কুস্তি ফেডারেশনের প্রধান তথা বিজেপি সাংসদ ব্রিজ ভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগের প্রেক্ষিতেই এই বিক্ষোভ। এদিকে ভারতের তারকা কুস্তিগিররা সুপ্রিম কোর্টেরও দ্বারস্থ হয়েছিলেন ব্রিজ ভূষণের বিরুদ্ধে এফআইআর করার আর্জি জানিয়েছ। সেই মামলা গ্রহণ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এদিকে দিল্লি পুলিশকে এই ইস্যুতে নোটিশও জারি করেছে শীর্ষ আদালত। শীর্ষ আদালত এই নিয়ে বলেছে, ‘এই অভিযোগ অতি গুরুতর।’ আগামী শুক্রবার ফের এই মামলার শুনানি হবে। (আরও পড়ুন: এবারে IPL দেখতে দেখতে স্টেডিয়ামে বসে খাওয়া যাবে বিয়ার, নয়া পদক্ষেপ সরকারের)

এদিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি নরসিংহের ডিভিশন বেঞ্চ দিল্লি পুলিশ এবং দিল্লি সরকারের থেকে খেলোয়াড়দের আর্জির প্রেক্ষিতে প্রতিক্রিয়া দিতে বলেছে। জানা গিয়েছে, মোট ৭ জন মহিলা কুস্তিগির সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে ব্রিজ ভূষণের বিরুদ্ধে এফআইআর করার আর্জি জানিয়েছেন। এর আগে গত রবিবার থেকে কুস্তিগিররা যন্তরমন্তরে ধরনায় বসেছিলেন। রাতেও সেখানেই চাদর মুড়ি দিয়ে শুয়ে পড়েছিলেন তাঁরা। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। অলিম্পিক ও বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে পদকজয়ী বিখ্যাত সব কিস্তিগিররা হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন যে বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে যদি এফআইআর না করা হয়, তাহলে সুপ্রিম কোর্টে যেতে বাধ্য হবেন তাঁরা। সেই মতো শীর্ষ আদাতে মামলার আবেদন করেন সাত মহিলা কুস্তিগির।

আরও পড়ুন: টেকঅফের আগে বিকট বিস্ফোরণ, আর্সেনাল ফুটবলারদের বহনকারী বিমানে ভয়াবহ আগুন

উল্লেখ্য, এর আগে ব্রিজ ভূষণের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার তদন্তের জন্য মেরি কমের মেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই তদন্ত কমিটির রিপোর্ট প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছিলেন কুস্তিগিররা। এরই মাধে কুস্তিগিরদের অভিযোগ দিল্লি পুলিশ ব্রিজ ভূষণের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ গ্রহণ করছে না। আদালতে ভিনেশ, সাক্ষীরা অভিযোগ জানিয়েছেন, বারাবার বলেও কোনও পদক্ষেপ নেয়নি দিল্লি পুলিশ। এদিকে মামলাকারীদের মধ্যে একজন অপ্রাপ্তবয়স্কও রয়েছেন। এই আবহে আবেদনে দাবি করা হয়েছে, যৌন হেনস্থার পাশাপাশি পকসো আইনেও ব্রিজ ভূষণের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে হবে। এদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে অভিযোগ করার জন্য ভিনেশ ফোগাটকে নাকি খুনের হুমকিও দিয়েছিলেন ব্রিজ ভূষণ।