আর কয়েকদিনেই হোয়াইট বেঙ্গল টাইগারের দেখা পাবে চিনের নাগরিকরা। তাও একটা নয়, একসঙ্গে ছয় ছয়টি হোয়াইট বেঙ্গল টাইগারের দেখা পাবেন চিড়িয়াখানায় আসা সে দেশের নাগরিকরা। সম্প্রতি এনজয়ল্যান্ড কনজারভেশন অ্যান্ড এডুকেশন সেন্টারেই জন্ম হয়েছে এই বিরল প্রজাতির বাঘের। চিনের হেনান প্রদেশের ঝেনঝউয়ে এই অ্যানিমাল পার্কটি অবস্থিত। তবে এই বাঘ বেশ কয়েকটি কারণে বিরল। সাধারণত মরসুমের হোয়াইট বেঙ্গল টাইগার একসঙ্গে সবচেয়ে বেশি চারটি বাচ্চার জন্ম দেয়। সেদিক থেকে একসঙ্গে ছয়টি বাচ্চার জন্ম দেওয়া একরকম বিরল ঘটনা। এর মধ্যে দুটি ছেলে ও বাকি চারটি মেয়ে বাঘ।
আরও পড়ুন: ৫ ব্যায়ামই ফ্যাটের যম, কখন কীভাবে করবেন জানেন কি
আরও পড়ুন: একমাসের মধ্যেই আরেক চিতার মৃত্যু মধ্যপ্রদেশের জাতীয় পার্কে! অপেক্ষা ময়নাতদন্তের
হোয়াইট বেঙ্গল টাইগার আদতে আমাদের পরিচিত বেঙ্গল টাইগারের একটি বিশেষ ধরন। এদের রং আলাদা হওয়ার মূল কারণ জিনের সমস্যা। জিনের এই সমস্যা মায়ের থেকে সন্তানের মধ্যেও পৌঁছে যায়। গায়ের রং সাদা বলে বনে জঙ্গলে বাঁচার জন্য বেশ লড়াই করতে হয় এদের। সুরক্ষামূলক হলুদ রঙের অভাবে এই সমস্যা হয়। তবে একসঙ্গে ছয়টি বাচ্চাকে সামলানো ও বড় করাও চিড়িয়াখানার কর্মীদের জন্য বেশ চ্যালেঞ্জের কাজ।বন্যপ্রাণ বিভাগের প্রধান জু ফু সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সাদা বাঘের ছয়টি বাচ্চা হওয়া রীতিমতো বিরল ব্যাপার। তাকে একা এতগুলি বাচ্চার খেয়াল রাখতে হলে সে বেশ ক্লান্ত হয়ে পড়বে। তাই বাচ্চা জন্মানোর সঙ্গে সঙ্গেই কৃত্রিম ব্রিডিংয়ের পদ্ধতি নেওয়া হয়েছে। ছয়টি বাচ্চাকে নার্সারিতে নিয়ে গিয়ে রাখা হয়েছে। সেখানেই আপাতত চিড়িয়াখানা কর্মীদের তত্ত্বাবধানে রয়েছে তাঁরা।
বর্তমানে তাদের দেখভাল করতে ইনকিউবেটর ব্যবহার করা হচ্ছে। সেখানেই ২৬ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড উষ্ণতায় রাখা হয়েছে সদ্যজাত বাচ্চাগুলিকে। প্রতিদিনই তাদের ওজন মাপা হচ্ছে। প্রতি দুই ঘন্টায় একবার করে দুধ খাওয়ানো হচ্ছে। এর পাশাপাশি মাসাজও করে দেওয়া হচ্ছে। প্রসঙ্গত খাবার যাতে হজম হয়, তাই পেটের কাছে মাসাজ করে দেওয়া জরুরি। হোয়াইট বেঙ্গল টাইগারকে চিনে বিরল ও বিপন্ন প্রজাতির প্রাণী হিসেবে গণ্য করা হয়। সেখানে রীতিমতো প্রথম শ্রেণির নাগরিকের মর্যাদা পায় এই বিশেষ বাঘ।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup