Kaliaganj Police Firing: মৃত্যুঞ্জয়ের বুকে বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি করেছে পুলিশ, দাবি পরিবারের

বুকে বন্দুক ঠেকিয়ে মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডলকে খুন করেছে উর্দিধারী পুলিশ। এমনই অভিযোগ করলেন মৃত্যুঞ্জয়ের জ্যেঠতুতো দাদা তথা বিজেপির স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য বিষ্ণু বর্মনের। বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি ফিরে সংবাদমাধ্যমকে একথা জানান তিনি।

বিষ্ণুবাবু জানান, বুধবার রাতে একটি বিয়েবাড়িতে ছিলেন তিনি। রাতে সেখানেই থেকে যান। ওদিকে রাত আড়াইটে নাগাদ বাড়িতে আসে কালিয়াগঞ্জ থানার উর্দিধারী পুলিশ। দরজা ভেঙে বাড়িতে ঢোকে তারা। বিষ্ণুবাবুর জামাইবাবু ও বৃদ্ধ বাবাকে টেনে হিঁচড়ে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করেন পুলিশকর্মীরা। তখন বিষ্ণুবাবুর স্ত্রী ও কন্যা প্রথমে বাধা দেন। জানান, বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছেন জামাই। বিষ্ণুবাবুর ৭৫ বছরের বৃদ্ধ বাবাকে কেন পুলিশ এত রাতে নিয়ে যাচ্ছে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। এরই মধ্যে সেখানে হাজির হন বিষ্ণবাবুর খুড়তুতো ভাই মৃত্যুঞ্জয়। কর্মসূত্রে শিলিগুড়িতে থাকেন তিনি। বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কয়েকদিন আগেই বাড়ি ফিরেছিলেন ৩৩ বছরের যুবক। বৃদ্ধ জ্যেঠাকে পুলিশ টেনে নিয়ে যাচ্ছে দেখে বাধা দেন। জড়িয়ে ধরেন জ্যেঠাকে। তখন এক পুলিশকর্মী একটি গুলি চালান। গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এর পর মৃত্যুঞ্জয়ের বুকে বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি চালান ওই পুলিশকর্মী। সঙ্গে সঙ্গে লুটিয়ে পড়েন যুবক। এর পর বিষ্ণুবাবুর বৃদ্ধ বাবাকে টানতে টানতে গাড়িতে তুলে নিয়ে যান পুলিশকর্মীরা।

বৃহস্পতিবার সকালে রাধিকাপুরের চাঁদগাঁওয়ে বিষ্ণু বর্মনের বাড়ির সামনে পড়ে রয়েছে লক্ষ্যভ্রষ্ট বুলেট। সকালে এসে মৃত্যুঞ্জয়ের দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় বিশাল পুলিশবাহিনী। বিষ্ণুবাবুদের বাড়িতে ভেঙে পড়েছে গোটা গ্রাম। পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছেন গ্রামবাসীরা।