Suvendu-Governor: ‘‌রাজ্যপাল সম্পূর্ণ বেআইনি কাজ করেছেন’‌, বোসের বিরুদ্ধে ফোঁস করলেন শুভেন্দু

আবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এর আগেও রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে নালিশ করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেটা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে নালিশ করেছিলেন তিনি। এবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ‘বেআইনি’ কাজ করছেন বলে ফোঁস করে উঠলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। কালিয়াগঞ্জের ঘটনায় যখন অগ্নিমিত্রা পাল, রাহুল সিনহারা রাজভবনের দ্বারস্থ হচ্ছেন তখন রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ফোঁস করে উঠলেন তিনি।

ঠিক কী বলেছেন শুভেন্দু?‌ একদিকে রাজ্যপাল রাজ্য সরকারকে সাহায্য করছেন বলে অভিযোগ বিরোধী দলনেতার। অন্যদিকে বেআইনি কাজ করছেন রাজ্যপাল বলে দাবি তাঁর। এই বিষয়ে তিনি সিউড়ির পুরন্দরপুরে এক অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন। শুভেন্দু বলেন, ‘রাজ্যপাল রাজ্য সরকারকেও তো অনেকভাবে সাহায্য করছে। আমি সেগুলি বলতে চাই না। পরে একদিন বলব। লোকায়ুক্ত নিয়ে তিনি যেটি করেছেন সেটি সম্পূর্ণ বেআইনি কাজ করেছেন। লোকায়ুক্তের চেয়ারম্যানের এক্সটেনশন হয় না। সেই এক্সটেনশনেও দিয়েছেন। বীরেন্দ্রকে ইলেকশন কমিশন সরিয়েছে। তারপর উনি ইনফরমেশন কমিশনার করে দিয়েছেন। যখনই বেআইনি কাজ আটকাবেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা তাঁর কর্মচারীরা রেগে উঠবে। আবার রাজ্যপাল কিছু একটা সহযোগিতা করে মিটিয়ে দেবেন। আমি গোপালকৃষ্ণ গান্ধীকে প্রণাম করি। জগদীপ ধনখড়কে স্যালুট করি।’

রাজ্যপালের জবাব ঠিক কী?‌ শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্য অনুযায়ী, তিনি এই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে প্রণামও করেন না। এমনকী স্যালুটও করেন না। যদিও রাজ্যপাল শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যকে বিরোধী দলনেতার মতপ্রকাশের অধিকার বলেই মনে করছেন। আসলে নিজের ক্ষোভকে তিনি প্রকাশ করেননি। বরং বিরোধী দলনেতার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে রাজ্যপালকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘‌বিরোধী দলনেতা যেটা ঠিক মনে করেছেন, সেটি প্রকাশ করার অধিকার তাঁর রয়েছে।’‌ অর্থাৎ তিনি যে এসব মন্তব্যে গুরুত্ব দেন না সেটি বুঝিয়ে দিয়েছেন।

তৃণমূল কংগ্রেস কী বলছে?‌ এই মুহূর্তে শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্য চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। আর তা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘রাজ্যপালকে যে ভাষায় শুভেন্দু অধিকারী আক্রমণ করলেন সেটা সমস্ত শিষ্টাচার ও সৌজন্যের বিরোধী। সাংবিধানিক রীতিনীতির বিরুদ্ধে। শুভেন্দুরা হিংসার রাজনীতি ও আক্রোশের রাজনীতি করে থাকে। মানুষের সঙ্গে ওদের সম্পর্ক নেই। জগদীপ ধনখড় রাজ্যপাল থাকাকালীন এই শুভেন্দুরা সকাল–বিকেল ওখানে গিয়ে বসে থাকত। এই রাজ্যপাল এখনও পর্যন্ত বহু বিষয়ে রাজ্যের সঙ্গে একমত হন, অনেক ক্ষেত্রে একমত হন না। এটাই তো গণতন্ত্র।’