Kaliaganj Police Firing: মৃত্যুঞ্জয়ের দেহ নিয়ে গ্রামে ঢুকল না পুলিশ, দেহ সমাহিত রাখার সিদ্ধান্ত পরিবারের

ময়নাতদন্তের পর বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ি পৌঁছল কালিয়াগঞ্জে পুলিশের গুলিতে নিহত মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের দেহ। তবে দেহ দাহ করবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। দেহ তাঁরা সমাধিস্থ করে রেখেছেন। দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত ও সিবিআই তদন্তের দাবিতে দ্রুত আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার পদক্ষেপ করছেন তাঁরা।

মৃত্যুঞ্জয়ের দেহ গ্রামে ফেরাতে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই কালিয়াগঞ্জ থানার সামনে প্রস্তুতি শুরু করে পুলিশ। একটি অ্যাম্বুলান্সে তোলা হয় যুবকের দেহ। সঙ্গে ২টি ছোটা হাতিতে করে প্রায় ২০ জন রোবো কপ পাঠানো হয় দেহের সঙ্গে। রাত প্রায় পৌনে ন’টা নাগাদ রাধিকাপুরের সীমান্ত লাগোয়া চাঁদগাঁওয়ে পৌঁছয় মৃত্যুঞ্জয়ের দেহ। তবে গ্রামে পৌঁছয় শুধু শববাহী অ্যাম্বুলান্সটি। উত্তেজনা ছড়ানোর আশঙ্কায় পুলিশের গাড়িগুলি গ্রাম থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার আগেই থেমে যায়।

দেহ গ্রামে পৌঁছতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিজনরা। পরিবার ও গ্রামবাসীদের দাবি, পুলিশ জোর করে দেহ নিয়ে গিয়ে ময়নাতদন্ত করেছে। এই ময়নাতদন্তে আস্থা নেই তাঁদের। তাই মৃত্যুঞ্জয়ের দেহের ফের ময়নাতদন্তের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাঁরা। দেহ সংরক্ষিত রাখতে বাড়ির পাশেই সমাধিস্থ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে দেহ গ্রামে পৌঁছনোর পর মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের বাড়ি যাওয়ার চেষ্টা করেন স্থানীয় বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী। রাধিকাপুর মোড়ে পুলিশ তাঁকে বাধা দেয়। বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর তাঁকে গ্রামে ঢুকতে দেয় পুলিশ। পরিবারকে সমবেদনা জানান তিনি। তিনি বলেন, এই মৃত্যুর বিচার আমরা আদায় করবই।