Ustad Bade Ghulam Ali khan: গানেই স্মরণ ওস্তাদ বড়ে গোলাম আলি খাঁকে, কলকাতার বুকে আয়োজন এক বর্ণময় সন্ধ্যার

কলকাতাতে যখন প্রথমবার আসেন, সেভাবে গুরুত্ব পাননি সঙ্গীত সমঝদার মহলে। তবে সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন তিনিও। প্রথম একটি গানের আসরে সুযোগ পেতেই নিজের বিরল প্রতিভার পরিচয় দেন। উপস্থিত শ্রোতারা মন্ত্রমুগ্ধের মতো শোনেন তাঁর কন্ঠ। সেই শুরু ইতিহাস লেখার আর আজ ওস্তাদ বড়ে গোলাম আলি খাঁ সাহেব নিজেই সুরের জগতে এক প্রবাদপ্রতিম ইতিহাস। তাঁর সুরে ও কথায় শুধু বাংলা নয়, আন্দোলিত হয়েছে সারা ভারতবর্ষের সঙ্গীত জগত। সেই অবিস্মরণীয় সুরের ওস্তাদকেই গানে গানে সাজিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে চলেছেন নভোদীপ চক্রবর্তী। শুক্রবার ২৮ এপ্রিল রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অফ কালচারে আয়োজিত হতে চলেছে সেই সুরময় সন্ধ্যা। 

অনুষ্ঠানে সঙ্গীত নিবেদনের দায়িত্বে থাকছেন নভোদীপ চক্রবর্তীর সুযোগ্য ছাত্রেরা। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পারফরমিং আর্টস থেরাপির ডাইরেক্টর অধ্যাপক ডাঃ গৌতম নাগ। একসময়ের অল ইন্ডিয়া রেডিয়োতে নিয়মিত খেয়াল পরিবেশন করেছেন রবীন্দ্রভারতীর অধ্যাপক ডাঃ গৌতম নাগ। ওস্তাদ বড়ে গোলাম আলি খাঁ সাহেবের শিষ্য ওস্তাদ মনব্বীর খাঁ সাহেবের শিষ্য গৌতম নাগ এই দিন হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে জানান, ‘ওস্তাদ বড়ে গোলাম আলি খাঁ সাহেবের অমন অননুকরণীয় আওয়াজ সারা ভারতেই এক বিরল সম্পদ। তাঁর গায়নভঙ্গি নিয়ে মূলত কথা হয় সুরের জগতে। কিন্তু তিনি একজন বড় গীতিকারও ছিলেন।’ বর্তমান সময়ে দেশে নানা প্রান্তে তৈরি হওয়া সাম্প্রদায়িক উত্তাপের প্রসঙ্গ টেনে গৌতমবাবু বলেন, ‘কলকাতায় মহাত্মা গান্ধি পর্যন্ত আশ্চর্য হয়েছিলেন বড়ে গোলাম আলি খাঁ সাহেবের কন্ঠ শুনে। একজন অন্য ধর্মের গায়কের গলায় হরি ওম ভজন শুনে রীতিমতো স্তব্ধ হয়ে যান তিনি।’ গৌতমবাবুর কথায়, এই আঙ্গিকে দেখলেও বর্তমান সময়ে প্রচন্ড প্রাসঙ্গিক তিনি।

এই উপলক্ষেই বিকেল পাঁচটায় রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অফ কালচারে গানের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানানো হবে কসুর পাতিয়ালা ঘরানার প্রবাদপ্রতীম শিল্পীকে। শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁকে স্মরণ করে আবারও বেজে উঠবে তাঁর কালজয়ী বন্দিশ, খেয়ালের সুর। গানের পাশাপাশি থাকছে যন্ত্রানুষঙ্গের মনোহর আয়োজন। 

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup