Snake: সাপে কামড়েছিল মহিলাকে, বিছের কামড় বলে ঝাড়ফুঁক ওঝার, শেষরক্ষা হল না

ঘুমন্ত অবস্থায় বিষাক্ত সাপ কামড়েছিল এক মহিলাকে। কিন্তু পরিবারের লোকজন বুঝতে পারেননি তাকে সাপে কামড়েছে।এদিকে তাকে ওঝার কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন পরিবারের লোকজন। এরপর বদ্রিনাথ বাগদি নামে সেই ওঝা জানায় সাপে নয়, তাকে কাঁকড়া বিছেতে কামড়েছে। 

এরপর তাকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।ঝাড়ফুঁক করেছিল ওঝা। এরপর ভোররাত থেকে মহিলার শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হতে থাকে। একটা সময় মৃ্ত্যুর কোলে ঢলে পড়ে ওই মহিলা। বাঁকুড়ার পাত্রসায়র থানার বালসি ২ নম্বর পঞ্চায়েতের শালোইপাড়া এলাকার ঘটনা। মৃতের নাম শিখা বাগদি। স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

এদিকে মায়ের কাছে দুধ খেয়েছিল ছোট্ট শিশু। সে ও কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়ে। গোটা ঘটনায় এলাকায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। মৃতার স্বামী জানিয়েছেন, রাতের দিকে কামড়েছিল। ভোরের দিকে বলছে হাতটা ঝিনঝিন করছে। ওঝা বলল সাপে কামড়ানো নয়। এরপর ধীরে ধীরে ঝিমিয়ে যাচ্ছিল। হাসপাতাল বলল ঘণ্টাখানেক আগেই মারা গিয়েছে। বিছানার নীচে সাপটা ছিল। পরে সেটাকে ধরা হয়েছে। মেয়েটা দুধ খেয়েছিল। সে অসুস্থ হয়ে পড়েছে।

স্থানীয় ওই ওঝার দাবি, ঝাড়ফুক আমি করি না। আমি ভেবেছিলাম কাঁকড়া বিছে হতে পারে। অপর এক আত্মীয় বলেন, আমার বৌদি রাতে ঘুমিয়েছিল। রাতে সাপে কামড়েছিল। ওঝা, কবিরাজি দেখিয়েছিলাম। পরে রাতে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাই। কিন্তু ওরা বলে মারা গিয়েছে। সাপটা পেয়েছি। সাপটা ঘরেই ছিল। হাসপাতালে নিয়ে গেলে বাঁচানো যেত। ওখানে ঝাড়ফুঁক করা হয়। সেখানেই নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু কখন নিয়ে গিয়েছিল জানি না।

অপর এক আত্মীয়া বলেন, সাপে কামড়ে দিয়েছিল। ওঝা বলেছিল বিছেতে কামড়েছে। ওঝা কিছু বুঝতে পারেনি। হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেরি হয়ে গেল। প্রথমে ওঝার কাছে নিয়ে গিয়েছিলাম। তখনও বৌমা সুস্থ ছিল। কথা বলছিল। তারপর অসুস্থ হয়ে পড়ে।

তবে অনেকের মতে ওঝার কাছে না নিয়ে গিয়ে হাসপাতালে নিয়ে গেলে হয়তো এই পরিস্থিতি হত না। এখনও বাংলার গ্রামে অন্ধ কুসংস্কার থেকে গিয়েছে। তারই বলি হতে হল শিখা বাগদিকে।