Jalpaiguri Storm: কয়েক মিনিটের ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে লন্ডভন্ড ধূপগুড়ির বিস্তীর্ণ এলাকা

কয়েক মিনিটের ঝড়ে ফের উজাড় হল প্রান্তিক এলাকার গরিব মানুষের বসত। শনিবার রাতে জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি ব্লকের একাধিক এলাকা ঝড় ও শিলাবৃষ্টির দাপটে লন্ডভন্ড। ভেঙেছে একাধিক টিনের বাড়ি। উড়ে গিয়েছে টিনের চালা। বছর খানেক আগেও একই রকম ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল এলাকাটি। সেই ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই দুর্যোগের কবলে তারা।

শনিবার রাতে ধূপগুড়ি ব্লকের বারোঘরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে পাটকিদহ, যাকইকোনা, ভেমটিয়া, দক্ষিণ ডাঙ্গাপাড়া, দামবাড়ি ও মধ্যবড়াগাড়ির কিছু এলাকার ওপর দিয়ে প্রবল কালবৈশাখী বয়ে যায়। ঝড়ের দাপটে ভেঙে পড়েছে একাধিক গাছ। ঝড়ের আগে প্রবল শিলাবৃষ্টি হয় বলে জানিয়েছেন স্থানীরা।

দুর্যোগের কবলে পড়া এক মহিলা জানিয়েছেন, রাত ১২টা নাগাদ শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। টিনের চাল ফুটো হয়ে যায় এমন বেগে শিল পড়তে থাকে। সেই দুর্যোগ থামতে না থামতেই প্রবল ঝড় ওঠে এলাকায়। কয়েক মিনিটের দমকা হাওয়ায় ভেঙে পড়ে একের পর এক গাছ। উড়ে যায় বেশ কয়েকটি বাড়ির টিনের চাল। গোটা এলাকা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ঝড়বৃষ্টির তাণ্ডব থামলে এলাকার বাসিন্দারাই গৃহহারাদের উদ্ধার করে নিজেদের বাড়িতে নিয়ে যান।

সকালে গ্রামগুলিতে গিয়ে রাতের তাণ্ডবের স্পষ্ট ছবি দেখা যায়। কোথাও বাড়ির ওপর পড়ে রয়েছে গাছ। কোথাও টিনের চালে শিলা পড়ার দাগ। ক্ষেতে এলিয়ে পড়েছে ফসল।

স্থানীয়রা বলেন, গত বছরও এলাকায় এই ধরণের ঝড় হয়েছিল। ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল বসত ও ফসলের। তবে প্রশাসনের তরফে সবাই এখনো ক্ষতিপূরণ পাননি। ফের প্রকৃতির একই রকম রোষে পড়ে আতঙ্কিত গ্রামগুলির বাসিন্দারা।

আবহাওবিদরা বলছেন, ডুয়ার্স ও লাগোয়া এলাকায় বিক্ষিপ্ত ভাবে হঠাৎ করে কালবৈশাখীর শক্তিশালী উল্লম্ব মেঘ তৈরি হয়। সেই মেঘ গঠনের সময় এই ধরণের প্রবল ঝড় ও শিলাবৃষ্টি হয়ে থাকে। ওই এলাকায় টিনের বাড়ি তৈরির চল রয়েছে। যা ঝড়ের প্রবল গতি সইতে পারে না। এলাকার বাসিন্দাদের পাকা বাড়ি করার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।