নন্দীগ্রামে চলছিল মন কি বাত অনুষ্ঠান, তৃণমূলে যোগ দিলেন আদি বিজেপি কর্মীরা

আবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা মিলে গেল। কিছুদিন আগে একটি জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, এখন মানুষ আপনার মন কি বাত শুনতে চান না। আপনি বরং মানুষের মনের কথা শুনুন। সত্যি মানুষ যেন শুনতে চাইলেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন কি বাত ১০০ পর্ব। নন্দীগ্রামে যখন ঘটা করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ১০০ তম মন কি বাত অনুষ্ঠান চলছিল তখন আদি বিজেপি কর্মীরা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন। এটা নন্দীগ্রামের বিধায়কের কাছেও বড় সেটব্যাক। রবিবার সারা দেশজুড়ে প্রধানমন্ত্রীর মন কি বাত অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হয়। নন্দীগ্রামে বিশেষ আয়োজন ছিল। গোকুলনগরে বড় হ্যাঙ্গার ঝুলিয়ে বড় জমায়েতের উদ্যোগ নেওয়া হয়। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী–সহ দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

নন্দীগ্রামে যখন ঘটা করে ১০০ তম মন কি বাত চলছিল তখনই বিজেপিতে ভাঙন ধরাল তৃণমূল কংগ্রেস। নন্দীগ্রাম–১ ব্লক কার্যালয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা তুলে নেন গৌতম মণ্ডল, প্রদীপ মণ্ডল, স্বদেশ মণ্ডল এবং শুভদীপ মণ্ডলরা। তাঁরা প্রত্যেকেই আদি বিজেপি নেতা–কর্মী। গৌতমবাবু ২০০৬ সাল থেকে গোকুলনগরের বিজেপির মুখ ছিলেন। প্রদীপ মণ্ডল বুথ কমিটির সহ–সভাপতি ছিলেন। তিনিও আদি বিজেপি নেতা হিসেবে পরিচিত। এরপরই অনুগামীদের ভিড় নন্দীগ্রামে দেখা যায়। তাঁরাও তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন।

এদিকে ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ, শেখ সাহাবুদ্দিন দলত্যাগীদের হাতে পতাকা তুলে দেন। প্রাক্তন মণ্ডল সভাপতি জয়দেব দাস আগেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। এবার আদি বিজেপি নেতা–কর্মীদের তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানের নেপথ্যে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন। জয়দেববাবুর কথায়, ‘‌রবিবার বিজেপি মেগা যোগদান মেলার ডাক দিয়েছিল। মন কি বাত অনুষ্ঠানে তৃণমূল ও সিপিএম থেকে কয়েকশো লোক বিজেপিতে যোগ দেবেন বলে আগাম ঘোষণা করেছিলেন নেতারা। কিন্তু তাঁরা সেই যোগদান করাতে পারেননি। উল্টে আদি বিজেপি নেতারাই এসে তৃণমূলে যোগ দিলেন।’‌

কে–কি বলছেন বিষয়টি নিয়ে?‌ অন্যদিকে দলত্যাগী গৌতম মণ্ডল, প্রদীপ মণ্ডলরা বলেন, ‘‌নন্দীগ্রামে বিজেপির রাশ এখন অনুগামীদের হাতে। পার্টির নিয়মশৃঙ্খলা না মেনেই একতরফা দল চালানো হচ্ছে। আদি বিজেপি নেতা–কর্মীরা আজ চূড়ান্ত উপেক্ষার শিকার। এভাবে কখনও পার্টি করা যায় না। তাই রাজ্য সরকারের উন্নয়নে শামিল হলাম।’‌ পাল্টা বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক মেঘনাদ পাল বলেন, ‘‌রবিবার যাঁদের পার্টি অফিসে এনে তৃণমূল পতাকা তুলে দিয়েছে তাঁরা আসলে বিজেপির কেউ নন। তাঁরা বিজেপির কোনও কমিটিতে নেই।’‌