দেশের অন্য শহরের কত, এ বার তথ্য দিয়ে পার্কিং ফি বাড়ানোর আবেদন যাবে নবান্নে

কিছু দিন আগে পার্কি ফি বাড়িয়েও পিছু হঠতে হয়েছে কলকাতা পুরসভাকে। বর্ধিত পার্কিং ফি নিয়ে অসন্তোষ প্রকশা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পর রাতরাতি সেই বর্ধিত ফি তুলে নেওয়া হয়। এ বার নবান্নের কাছে দেশের অন্যান্য শহরে পার্কি ফি-র তথ্য-পরিসংখ্যান তুল ধরে কলকাতা ফি বাড়ানো জন্য আবেদন করবেন মেয়র ফিরদাহ হাকিম।

রবিবার এক সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, সমস্ত তথ্য প্রমাণ দিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে পার্কিং ফি বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য আবেদন করা হবে। তিনি বলেন,’ঘণ্টা প্রতি পার্কিং ফি দশ টাকা খুবই কম। এই চার্জ বাড়ানো যেতে পারে।’ পুরসভার এক আধিকারিকের, ‘রাজস্ব ঘাটতিতে ভুগছে কলকাতা পুরসভা। এই পরিস্থিতি আয় বাড়ানোর অন্যতম উপায় হল পার্কিং ফি বৃদ্ধি।’ পুরসভা সূত্রে খবর, ২০২৩-২৪ সালে পার্কিং ফি থেকে ১০০ কোটি টাকা রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্য মাত্রা ঠিক করেছে পুরসভা। কিন্তু পার্কিং না বাড়ালে সেই লক্ষ্যে আদৌ পৌঁছনো যাবে কি না তা নিয়ে সন্দিহান পুর কর্তারাও।

গত সপ্তাহে মেয়র পরিষদের সভাতেও এ বিষয়ে আলোচনা হয়। ওই মেয়র নির্দেশ দেন দেশের অন্য শহরগুলিতে কত পার্কিং ফি নেওয়া হয় তার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তৈরি করে রাজ্য সরকারের কাছে পাঠাতে। সেই ভিত্তি করেই আবেদন জানানো হবে পার্কি ফি বাড়ানোর জন্য। মেয়র পারিষদের বৈঠকে যুক্তি হিসাবে উঠে আসে, সম্পত্তির মূল্য বেড়েছে, রেজিস্ট্রেশন ফি বেড়েছে কিন্তু পার্কিং ফি গত এক বছর ধরে সেই এই আছে। এই পরস্থিতিতে রাজস্ব বাড়াতে হলে পার্কিং ফি বাড়ানো ছাড়া উপায় নেই বলে মনে করছে কলকাতা কলকাতা পুরসভা।

প্রসঙ্গত, গত ১ এপ্রিল থেকে পার্কিং ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয় কলকাতা পুরসভা। ওই দিন থেকে বর্ধিত পার্কিং ফি নেওয়া শুরু হতেই দলের সঙ্গে চাপানউতোর তৈরি হয় মেয়রের। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দেন, মুখ্যমন্ত্রী ও দলের সম্মতি ছাড়াই পার্কিং ফি বাড়ানো হয়েছে। ৭ এপ্রিল রাতেই বর্ধিত পার্কিং ফরতে সিদ্ধান্ত নেন মেয়র। তবে এ বার পার্কিং বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিতে নবান্নের কোর্টেই বল ঠেললেন মেয়র।