Sharad Pawar resigns: ‘আমি সরে যাচ্ছি’, NCP সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা শরদ পাওয়ারের

জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টির সর্বভারতীয় সভাপতি পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা করলেন শরদ পাওয়ার। এনসিপি প্রতিষ্ঠাতার এহেন ঘোষণায় স্বভাবতই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মারাঠা রাজনৈতিক মহলে। তাঁর পদত্যাগের পর দলের রাশ মেয়ে সুপ্রিয়া সুলের কাছে যায় নাকি ভাইপো অজিত পাওয়ার দলের সভাপতি হন, এখন সেদিকে নজর সবার। এদি শরদ পাওয়ার এনসিপি সভাপতি পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা বললেও জানিয়ে দেন তিনি সক্রিয় রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন না।

এদিন মুম্বইতে নিজের আত্মজীবনি প্রকাশের অনুষ্ঠানে এই বিস্ফোরণ ঘটান শরদ পাওয়ার। এদিকে অডিটোরিয়ামে হাজির এনসিপি কর্মী-সমর্থকরা শরদ পাওয়ারের ঘোষণায় স্তম্ভিত হয়ে যান। তাঁরা একসঙ্গে সরব হন। শরদ পাওয়ারকে এই সিদ্ধান্ত বদলের আর্জি করতে থাকেন। তবে শরদ পাওয়ার নিজের অবস্থানে অনড় থাকেন। তিনি জানান, একটি কমিটি গঠন করা হবে। সেই কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে যে তাঁর অবর্তমানে কে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি হবেন। তবে তাঁর এই ঘোষণার পরও দলীয় কর্মী-সমর্থকরা দাবি করেন, শরদ পাওয়ার নিজের সিদ্ধান্ত বদল না করলে তাঁরা অডিটোরিয়াম ছেড়ে বের হবেন না।

এদিকে শরদ পাওয়ার জানিয়েছেন যে দলের পরবর্তী সভাপতি নির্বাচনের কমিটিতে থাকবেন – প্রফুল প্যাটেল, সুনীল তাটকরে, কেকে শর্মা, পিসি চাকো, অজিত পাওয়ার, জয়ন্ত পাতিল, সুপ্রিয়া সুলে, ছগান ভুজবল, দিলীপ ওয়ালসে পাতিল, অনিল দেশমুখ, রাজেশ টোপে, জিতেন্দ্র আওহাদ, হাসান মুশরিফ, ধনঞ্জয় মুন্ডে, জয়দেব গায়কওয়াড়। তাছাড়াও কমিটিতে থাকবেন জাতীয়তাবাদী মহিলা কংগ্রেসের সভাপতি ফৌজিয়া খান, জাতীয়তাবাদী যুব কংগ্রেসের সভাপতি ধীরজ শর্মা, জাতীয়তাবাদী যুব কংগ্রেস এবং জাতীয়তাবাদী ছাত্র কংগ্রেসের সভাপতি সোনিয়া দুহান।

শরদ পাওয়ার আজ বলেন, ‘১৯৬০ সালের ১ মে মহারাষ্ট্র গঠন হয়। যশবন্ত রাও চহ্বানের নেতৃত্বে রাজ্য গঠন হয়। আমি সেদিনই পুণে যুব কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হই। ১৯৬৬ সালে বারামতি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে আমি কংগ্রেসের টিকিটে লড়াই করি। ২৭ বছর বয়সে আমি বিধায়ক নির্বাচিত হই। বিগত ৬ দশক ধরে মহারাষ্ট্র এবং আপনারা সবাই আমাকে অনেক কিছু দিয়েছেন। জনপ্রতিনিধি হিসেবে বিগত ৫৬ বছরে আমি বিধানসভা, বিধান পরিষদ, লোকসভা ও রাজ্যসভার সদস্য থেকেছি। চারবার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছি। তাছাড়াও কেন্দ্রের অনেক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্ব পালন করেছি। ১৯৯৯ সালে এনসিপি গঠনের পর থেকে আমি দলের সভাপতি। ২৪ বছর ধরে আমি এই পদে আছি। তবে আমি বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গেও যুক্ত। আমার সময় হয়েছে। এখন এই সব সংগঠনের দিকে বেশি মন দেব আমি। সময় হয়েছে নতুন প্রজন্ম এই দলকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।’