ক্রেমলিনে ড্রোন হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার যুক্তরাষ্ট্রের

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে হত্যা চেষ্টায় ক্রেমলিনে কথিত ড্রোন হামলার পরিকল্পনাকারী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করে রাশিয়া। একে ‘হাস্যকর দাবি’ হিসেবে বর্ণনা করেছে হোয়াইট হাউজ। বৃহস্পতিবার সংবামাধ্যম বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি বৃহস্পতিবার বলেন, ‘রুশ প্রেসিডেন্টের বাসভবনে হামলার সঙ্গে আমাদের কোনও সংশ্লিষ্টতা নেই। পেসকভ যে অভিযোগ এনেছেন, তার কোনও ভিত্তি নেই। আরও স্পষ্টভাবে যদি বলতে হয়, সেক্ষেত্রে আমি বলবো, পেসকভের অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যে।’

ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বৃহস্পতিবার অভিযোগ করে বলেন, ‘এ হামলার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের হাত ছিল, তাতে সন্দেহ নেই। এমন হামলার সিদ্ধান্ত কিয়েভ থেকে নয় ওয়াশিংটন থেকেই নেওয়া হয়।’

পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তা জন কিরবি বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কোনও সম্পর্ক নেই। প্রকৃত ঘটনা কী ঘটেছে তাও আমরা জানি না। নিশ্চিত করতে পারি, এখানে যুক্তরাষ্ট্রের কোনও ভূমিকা ছিল না।

ওয়াশিংটন কখনও ইউক্রেনকে তার সীমান্তের বাইরে হামলা চালাতে উৎসাহ দেয়নি। এমনকি যুক্তরাষ্ট্র কোনও নেতার ওপর হামলাকেও সমর্থন করে না বলেও মন্তব্য করেন কিরবি।

বুধবার (৩ মে) রুশ সরকারের এক বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়েছে, মস্কোতে পুতিনের সরকারি বাসভবনের কাছে দুটি ইউক্রেনীয় ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে। ক্রেমলিন বলছে,পরিকল্পিত সন্ত্রাসী হামলায় পুতিনকে হত্যার চেষ্টা হিসেবে ড্রোনগুলো পাঠানো হয়েছে। ইউক্রেন এই কথিত হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

এর মধ্যেও ইউক্রেনের বিভিন্ন জায়গায় হামলা থেমে নেই রাশিয়ার। বুধবার খেরসনে রুশ হামলায় ২১ জন প্রাণ হারান। এর আগে রবিবার সন্ধ্যায় ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির কার্যলয়ের কাছাকাছি একটি ড্রোনকে ভূপাতিত করার দাবি করেছে কিয়েভে।