CBI Report: মানিকের নির্দেশেই প্রাথমিক দুর্নীতি, সুপ্রিম কোর্টে রিপোর্ট দিল CBI

প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে সুপ্রিম কোর্টে রিপোর্ট পেশ করল সিবিআই। আর তাতে জানানো হয়েছে, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির পুরোটাই হয়েছে মানিক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে। এমনকী কী কারণে মানিক ভট্টাচার্যের প্রাথমিক সংসদের সভাপতি পদে মেয়াদ ২ বার বাড়িয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার সেই প্রশ্নও তোলা হয়েছে রিপোর্টে।

রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে দুর্নীতির মূল কারিগর মানিক ভট্টাচার্য। তাঁর নির্দেশেই যাবতীয় দুর্নীতিতে যুক্ত হয়েছেন অন্যরা। এমনকী মানিকের নির্দেশেই নথিতে সই করেছেন সংসদের প্রাক্তন সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচী। রিপোর্টে সিবিআই জানিয়েছে, অন্তত ৩৬ জন এমন প্রার্থীকে নিয়োগ করা হয়েছে যায় টেট পাশই করেনি। উর্দুতে টেট পাশ করেছেন এমন ২ জন প্রার্থীকে বাংলা মাধ্যমে শিক্ষকতায় নিয়োগ করা হয়েছে।

রিপোর্টে জানানো হয়েছে, এই দুর্নীতিতে অভিযুক্তরা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, তাঁরা সব কাজ মানিক ভট্টাচার্যের নির্দেশে করেছেন। এমনকী সংসদ সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচী জানিয়েছেন, যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা পাঠানোর সময় যে ফরওয়ার্ডিং লেটার পাঠাতে হয় তাতে মানিক ভট্টাচার্যের নির্দেশে সই করেছেন তিনি। তবে তালিকা না দেখেই।

রিপোর্টে সিবিআই জানিয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি হিসাবে মানিক ভট্টাচার্যের মেয়াদ ২ বার বাড়িয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ২০১৬ ও ২০১৮ সালে তাঁর মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। কী কারণে তাঁর মেয়াদ বাড়ানো হল তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তদন্তকারীরা।

সিবিআইয়ের দাবি, অন্যান্য অভিযুক্তরা তদন্তে সহযোগিতা করলেও মানিক ভট্টাচার্য সহযোগিতা করছেন না। এর ফলে তদন্ত বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে।

বলে রাখি, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে স্ত্রী – পুত্রসহ জেলবন্দি রয়েছেন মানিক ভট্টাচার্য। দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে দীর্ঘদিন জেলবন্দি থাকলেও তাঁকে এখনও বিধায়ক পদ ছাড়তে বলেনি তৃণমূল।