Meta steps against Pak Hacker Groups: ভারতীয় সামরিক অফিসারদের নিশানা বানানো পাক হ্যাকারদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ ফেসবুকের

বিভিন্ন উপায়ে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ভারতীয় সমরিক অফিসার বা জওয়ানদের ফাঁদে ফেলে থাকে পাক গুপ্তচররা। অনেক ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সামরিক অফিসারদের অ্যাকাউন্টও হ্যাক করা হয়। এহেন হ্যাকারদেরই একটি নেটওয়ার্ক সম্প্রতি চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছে মেটা। ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে এই হ্যাকাররা ভারতীয় অফিসারদের ফাঁদে ফেলত। এই নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে মেটা পদক্ষেপ করেছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। এই নেটওয়ার্কের অধীনে শতাধিক ভুয়ো ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট আছে বলে জানানো হয় সংস্থার তরফে।

এদিকে ভারত থেকে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত, চিন, শ্রীলঙ্কা, তিব্বতে বিভিন্ন সামরিক কর্তা এবং স্বেচ্ছেসেবী সংগঠনকে হ্যাক করা একটি নেটওয়ার্ককেও চিহ্নিত করেছে মেটা। এই নেটওয়ার্কের নাম প্যাচওয়ার্ক। এই আবহে মেটার তরফে এক বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়েছে, ‘আমরা পাকিস্তানের একটি হ্যাকিং গোষ্ঠীর সাথে যুক্ত প্রায় ১২০টি ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। এগুলি মূলত ভারত ও পাকিস্তানের লোকেদের নিশানা করত। ভারতের সামরিক কর্মী এবং পাকিস্তান বিমান বাহিনীর সদস্যরা এই গোষ্ঠীর শিকার হয়েছেন৷ আমাদের তদন্তে উঠে এসেছে যে পাকিস্তানের সরকার বা প্রশাসন এই গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে।’ এই গোষ্ঠীগুলি ম্যালওয়্যার এবং ভাইরাস পাঠিয়ে হ্যাক করত বলে জানিয়েছে মেটা। এদিকে ভারতের ‘প্যাচওয়ার্ক’ গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত ৫০টি অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে মেটা ব্যবস্থা নিয়েছে। এই গোষ্ঠীর ভুয়ো অ্যাকাউন্টগুলি থেকে ব্রিটিশ বা আরবের সাংবাদিক পরিচয়ে বিভিন্ন মানুষকে নিশানা করা হত।

এদিকে সম্প্রতি পাকিস্তানি জঙ্গিদের ব্যবহৃত বেশ কিছু অ্যাপ ভারত সরকার নিষিদ্ধ করে। এই অ্যাপগুলি ব্যবহার করে ভারতে তাদের সহযোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখত পাক জঙ্গিরা। রিপোর্ট অনুযায়ী, নিষিদ্ধ অ্যাপগুলির মধ্যে রয়েছে ক্রিপভাইজার, এনিগমা, সেফউইস, উইকরমি, মিডিয়াফায়ার, ব্রায়ার, বিচ্যাট, নন্দবক্স, কনিয়ন, আইএমও, এলিমেন্ট, সেকেন্ড লাইন, ঝাঙ্গি এবং থ্রিমা। এই মোবাইল অ্যাপগুলির মাধ্যমে সরকারের নজরদারি এড়িয়ে পাকিস্তানে তথ্য পাঠাত জঙ্গিরা। আবার সেখান থেকে এই অ্যাপগুলির মাধ্যমে তথ্য ভারতে পাঠাত পাক জঙ্গিরা। এই আবহে নিরাপত্তা এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলি এই অ্যাপগুলিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার সুপারিশ করেছিল কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে। সেই সুপারিশ মেনেই কেন্দ্রের তরফে এই ১৪টি অ্যাপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।