Kalighat Kaku: টাকা বের করে ওদের দিলাম, কত বলব কেন? CBI বাড়ি থেকে বেরোতেই হেসে ফেললেন কালিঘাটের কাকু

কালীঘাটের কাকু বলেই তিনি বাংলা জুড়ে পরিচিত হয়ে গিয়েছেন। আসলে তিনি সুজয় ভদ্র। তিনি নিজেই জানিয়েছিলেন, তাঁর সাহেবের নাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই কালীঘাটের কাকুর বেহালার বাড়িতে বৃহস্পতিবার তল্লাশি চালাল সিবিআই।

সকাল সাড়়ে ৯টা নাগাদ সিবিআই আধিকারিকরা সিবিআই আধিকারিকরা তল্লাশিতে নামেন। দুপুর ২ টো নাগাদ তাঁরা বেরিয়ে যান। কেন্দ্রীয় বাহিনীও চলে যায়। তবে তল্লাশি শেষ হওয়ার পরে কার্যত একগাল হাসি সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের মুখে।

তিনি নিজেই জানিয়েছেন, কিছু নগদ টাকা, মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস কমিশনের একটি অ্যাডমিট কার্ড ও তাঁর দুটি মোবাইল ফোন সিবিআই বাজেয়াপ্ত করেছে।

সুজয়ের দাবি, বাড়িতে শ্য়ালিকার ছেলের মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস কমিশনের একটি অ্য়াডমিট কার্ড ছিল। সেটা সিবিআই নিয়ে গিয়েছে। তিনি বলেন, আমার শালির ছেলে, এই ফকির পাড়াতেই থাকে। পরীক্ষা দিয়েছে। যেরকম হয়….শালির ছেলে….। আর কী বললেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র?

তল্লাশি শেষ হওয়ার পরে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র বলেন, ওরা তো বলেননি কিছু। একটা সার্চ ওয়ারেন্ট দেখালেন। আমি লিখলাম সিন। ফোন দুটো নিয়েছে। আমাকে দেখা করার জন্য় বলেনি। মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস কর্পোরেশনের অ্যাডমিট কার্ড ছিল। সেটা নিয়ে গিয়েছে। শালির ছেলে। পাড়াতেই থাকে। পরীক্ষা দিয়েছে। কালো ব্যাগ! জানি না তো। ওই ফ্ল্যাটটি আমার দুই বিধবা দিদি থাকেন। আমাদের চারভাইয়ের ফ্ল্যাট। আমার একটা ড্রয়ার খুলতে পারছিল না। সেটা স্ত্রী খুলে দিল। কিছু টাকা নিয়েছে। কত টাকা বলব কেন? হিসাব দিয়েছে। আমি ব্যাঙ্কের ডকুমেন্ট দিয়েছে। আমার দিদি হাসপাতালে ভর্তি। সেকারণে টাকাটা রেখেছিলাম। আমার ফোন কাড়বে কেন! চাইল দিলাম। অত্যন্ত ভালো পরিবেশে হল। দারুন হল। আমি টাকা বের করে ওদের দিলাম। ওরা কিচ্ছু বলল না। একটা কথাও জিজ্ঞাসা করল না। তবে কিছু টাকা রেখে যেতে বলেছি। চিকিৎসার জন্য লাগবে। বললেন কালীঘাটের কাকু।

সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র। প্রথমদিকে তিনি কালীঘাটের কাকু বলেই পরিচিত ছিলেন। পরে তাপস মণ্ডল তাঁর পরিচয় ফাঁস করে দেন। এদিকে এর আগে একাধিকবার তিনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের মুখোমুখি হয়েছিল। এদিন একেবারে বাড়িতে হাজির তদন্তকারীরা। তবে সিবিআই বেরিয়ে যেতেই একেবারে একগাল হাসি সুজয় ভদ্রের মুখে। কার্যত স্বস্তির হাসি তাঁর মুখে।