Manipur Violence: হিংসায় জ্বলছে মণিপুর, মোতায়েন সেনা, নিরাপদ স্থানে সরানো হল কয়েক হাজার মানুষকে

আদিবাসীদের বিক্ষোভ হিংসাত্মক আকার ধারণ করায় মণিপুরে মোতায়েন করা হয়েছে সেনা এবং অসম রাইফেলস। এদিকে হিংসা কবলিত অঞ্চল থেকে সাধারণ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরানোর কাজ করছেন সামরিক আধিকারিক এবং জওয়ানরা। পুলিশকর্মীদের সঙ্গে মিলে হিংসা কবলিত এলাকায় গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে সেনাকর্মীরা। জানা গিয়েছে, শান্তি বজায় রাখতে ফ্ল্যাগ মার্চ করছে সেনা। এর আগে গত মাসে মুখ্যমন্ত্রীর সভাস্থলে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল উত্তেজিত জনতা। আর সম্প্রতি মৈতেই গোষ্ঠীর সঙ্গে সংঘর্ষ বেঁধেছে আদিবাসী সম্প্রদায়ের। এই আবহে রাজ্যের আট জেলায় জারি হয়েছে কার্ফু। বন্ধ হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা।

উল্লেখ্য, ইম্ফাল উপত্যকায় সংখ্যাগরিষ্ঠ হল মৈতেই জনজাতি। তবে তারা সম্প্রতি দাবি তুলেছে যে তাদের তফসিলি উপজাতির তকমা দিতে হবে। তাদের এই দাবির বিরোধ জানিয়েছে স্থানীয় আদিবাসীরা। এই আবহে মণিপুরের অল ট্রাইবাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন একটি মিছিলের আয়োজন করেছিল বুধবার। সেই মিছিল ঘিরেই হিংসা ছড়িয়ে পড়ে চূড়াচাঁদপুর জেলায়। এর আগে এই জেলাতেই মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংয়ের সভাস্থলে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল ইন্ডিজেনাস ট্রাইবাল লিডারস ফোরামের সদস্যরা। সেবার অবশ্য তাদের অভিযোগ ছিল, সংরক্ষিত জঙ্গল ও জলাভূমি থেকে অসংবেদনশীল ভাবে মানুষজনকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই আবহে তারা সংরক্ষিত জঙ্গল ও জলাভূমির সমীক্ষার বিরোধ করেছিল। সরকারের কাছে এই সমীক্ষা বন্ধের আর্জি জানানো হয়েছিল। তবে সরকার তাদের কথা শোনেনি বলে অভিযোগ। এদিকে সংগঠনের আরও অভিযোগ, রাজ্য সরকার একাধিক গীর্জা ভেঙে দিয়েছে। এতে তাদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত পৌঁছেছে।

এদিকে বুধবারের হিংসায় চূড়াচাঁদপুর জেলায় আগুন জ্বলছে। এই পরিস্থিতিতে গতকাল বিক্ষোভকারীদের নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়তে বাধ্য হয়েছিল। এই ঘটনার পর ইম্ফল পশ্চিম জেলার কাঞ্চিপুর এবং ইম্ফল পূর্বে সোইবাম লেইকাইতে মৈতেই জনজাতির মানুষজন আদিবাসীদের ওপর হামলা করার জন্য পথে নামে। তবে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। আদিবাসীদের সেই এলাকা থেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় সেনার মদতে। যাতে নতুন করে অঞ্চলে অশান্তি না ছড়ায় এর জন্য সেনা এবং অসম রাইফেলকে মোতায়েন করা হয়েছে। জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা।