Offbeat Darjeeling: ছবির মতো পাহাড়, নদী, ঝকঝকে তিস্তা, মুনসং থেকে কাছেই এই গ্রাম, ঘুরে আসুন

নির্জনতায় কয়েকটা দিন কাটাতে চান? পাহাড়ঘেরা নির্জনতা। সবুজে সবুজ চারদিক। তবে এবার যেতেই পারেন মুঙ্গেরজুং। নামটা বেশ খটোমটো। এনজেপিতে নামার পরে গাড়ি চালককে নামটা বললে চড়া দর হাঁকতে পারেন। সেকারণে হোমস্টেকে আগে থেকে বলে রাখতে পারেন এনজেপি থেকে নিয়ে যেতে। এতে কিছুটা সাশ্রয় হবে আপনার।

গ্রামের নাম মুঙ্গের জুং। এই গ্রাম কালিম্পংয়ে। রংপো থেকে কাছে অর্থাৎ মাত্র ১১ কিলোমিটার দূরেই গ্রাম। এনজিপি থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার। আর কালিম্পং শহর থেকে মোটামুটি ২০/২২ কিলোমিটার দূরে এই নির্জন নিরিবিলি গ্রাম। নির্জনতা কাকে বলে এই পাহাড়ে না এলে বুঝতেই পারবেন না। একেবারে আদি অকৃত্রিম নির্জনতা। সব থেকে বড় কথা সাধারণত পাহাড়ের কোন স্পটে উপর দিকে উঠতে হয়। আর এই জায়গায় আপনাকে বেশ কিছুটা নীচের দিকে নামতে হবে। তারপর পাবেন এই গ্রাম। মুন সাং গ্রাম থেকে কাছেই মুঙ্গেরজুং।

এই গ্রাম থেকে তিস্তা একেবারে অন্যরকম। গ্রামের থেকে কিছুটা এগোলেই একটা ভিউ পয়েন্ট আছে। আর সেখান থেকেই দেখা যায় অজস্র বাঁক নিয়ে পাহাড়ের কোলে বয়ে চলেছে তিস্তা নদী।

ছোটবেলায় আমরা অনেকে ছবি আঁকি। সেই ছবিতে দুটো পাহাড় থাকে, আরেকটা নদী থাকে। ছোটবেলার সেই ছবিটা একবার মনে মনে ভাবুন। আর ওই ভিউ পয়েন্টে দাঁড়িয়ে তিস্তার দিকে তাকিয়ে থাকুন। একবার হলেও মনে হবে ছোটবেলায় তো এই ছবিটা একেছিলাম।

এখানে পাহাড়ি একটা পানীয় পাওয়া যায়। নাম চাং। একটু চেখে দেখতে পারেন। খারাপ লাগবে না।

সবুজ পাহাড়ের মাঝে একটা মনাস্ট্রি আছে। সেটা দেখে আসতে ভুলবেন না। অনেকে পাখি দেখতে এই গ্রামে যান। ছোট ছোট ট্রেকিং রুট আছে। ঘন জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে সেখানে হেঁটে আসুন। পারলে সঙ্গে একটা একজন গাইড নিয়ে বেরিয়ে পড়ুন।

বর্ষাকালে এখানে অন্যরকম সৌন্দর্য। কিন্তু এই গ্রামে যাওয়ার যে রাস্তা সেটা বর্ষাকালে কিছুটা বিপর্যস্ত হয়ে যায়। সে কারণেই বর্ষাকালে গেলে একটু সাবধানে যাবেন।। এনজেপি থেকে গাড়ি ভাড়া করলে আপনার কিছুটা বেশি পড়ে যাবে। এক্ষেত্রে যে হোম স্টেটে থাকবেন তাদের পিক আপ ফেসিলিটি আছে কিনা সেটা জেনে নেবেন। ওরাই গাড়ি পাঠিয়ে দেন। এটা অনেকটা নিরাপদ। এবার শুধুই বেড়িয়ে পড়ার পালা।