বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যুবতীকে ধর্ষণ করল সেনা জওয়ান, দাঁতনে গ্রেফতার অভিযুক্ত

এক যুবতীর সঙ্গে বিয়ের সম্বন্ধ ঠিক হয়েছিল এক সেনা জওয়ানের। তার কয়েকদিনের মধ্যেই ওই যুবতীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল এই সেনা জওয়ানের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে জোর আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। ওই জওয়ানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঝাড়গ্রাম মহিলা থানা এলাকায় ওই যুবতীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ওই জওয়ানের বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাঁতন থানার বাহলিয়া গ্রামে। রাতে বাড়ি থেকে ওই জওয়ানকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতকে ঝাড়গ্রাম আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।

ঠিক কী ঘটেছে ঝাড়গ্রামে?‌ স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই সেনা জওয়ানের নাম বিপুল সিং। তার সঙ্গেই এখানের যুবতীর বিয়ের সম্বন্ধ হয়েছিল। কারণ এই যুবতীর সঙ্গে প্রথমে আলাপ হয় জওয়ানের। সেই সুযোগে দুই পরিবারের সদস্যদের পরস্পরের বাড়িতে যাতায়াত এবং পরিচয় হয়। এই সখ্যতার সুযোগ নিয়ে যুবতীর সঙ্গে আলাদা দেখা করতে চায় ওই সেনা জওয়ান। যুবতী বিয়ে হবে ওই জওয়ানের সঙ্গে ধরেই নিয়েছিল। তাই বিপুলের সঙ্গে দেখা করতে যান ওই যুবতী। তখন বিপুল তাঁকে নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে গোটা দিন ধর্ষণ করে। বিষয়টি নিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। আর পুলিশ বিপুলকে গ্রেফতার করে।

পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে?‌ পুলিশ সূত্রে খবর, ২০১৯ সালে বিপুল সিং সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। রাঁচিতে তিনি কর্মরত ছিলেন। সম্প্রতি ছুটি নিয়ে তিনি বাড়িতে আসেন। লম্বা ছুটি থাকায় বাড়ির লোকেরা তাঁর বিয়ের জন্য সম্বন্ধ দেখতে শুরু করেন। কিন্তু ঝাড়গ্রাম থানা এলাকার এক যুবতীর সঙ্গে আগেই আলাপ হয় বিপুলের। সে কথা পরিবারকে জানালে পরিবারের সদস্যরা বিয়ের কথা বলতে যুবতীর বাড়ি যান। তখন যুবতীও বিপুলের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন এবং বিয়ে নিয়ে কথাবার্তা হয়। এরপরই বিয়ে নিয়ে কথা বলতে আলাদা করে যুবতীকে ডেকে পাঠায় বিপুল। আর যুবতী এলে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ করা হয়। এই অভিযোগ থানায় লিখিতভাবে জানান যুবতী। তখনই তদন্তে নেমে ওই জওয়ানকে গ্রেফতার করা হয়।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ এমন ঘটনা ঘটার পর প্রথমে ভেঙে পড়েন যুবতী। তারপর তিনি নিজেই ঝাড়গ্রাম মহিলা থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে নেমে ঝাড়গ্রাম মহিলা থানার পুলিশ ওই জওয়ানকে গ্রেফতার করে। অভিযুক্তের পরিবার তখন পাল্টা অভিযোগ তোলেন, ওই যুবতীকে পছন্দ ছিল না বিপুলের। কিন্তু বিপুলকে বিয়ে করতে চাপ দেওয়া হচ্ছিল যুবতীর পরিবারের পক্ষ থেকে। তাঁদের ছেলে বিয়েতে মত দেয়নি বলেই এভাবে ফাঁসিয়ে দিয়েছে যুবতী। ঝাড়গ্রামের এসডিপিও অনিন্দ্যসুন্দর ভট্টাচার্য বলেন, ‘তদন্ত চলছে। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা দেখা হচ্ছে।’‌