New research: হারানো দৃষ্টিশক্তিও সহজেই ফিরতে পারে এবার, নয়া গবেষণায় চাঞ্চল্যকর তথ্য

ডিজেনারেটিভ রেটিনা রোগের সমখধান খুঁজে পেল‌ নয়া গবেষণা। বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে এই রোগ। ডিজেনারেটিভ রেটিনা রোগে আক্রান্ত রোগীদের দৃষ্টি ধীরে ধীরে একসময় হারিয়ে যায়। দৃষ্টি ফিরে পাওয়ার  নতুন আশার আলো দেখাল এই গবেষণা। ইনস্টিটিউটের একটি বিবৃতি অনুসারে , ইউনিভার্সিট ডি মন্ট্রিলের মিশেল কাইউয়েটের নেতৃত্বে গবেষকরা রেটিনার সুপ্ত কোষগুলিকে আবার সক্রিয় করার একটি উপায় খুঁজে পেয়েছেন। পাশাপাশি, রেটিনা ক্ষয়ে যাওয়ার ফলে হারিয়ে যাওয়া কোষগুলিকে প্রতিস্থাপনও করা যাবে একই উপায়ে।

আরও পড়ুন: ধূমপান থেকে কী ক্ষতি হয় মেরুদণ্ডের? নয়া খোঁজ মিলল গবেষণায়

আরও পড়ুন: রোজ রোজ মুখরোচক খাবার খাওয়া নেশা হয়ে দাঁড়াচ্ছে? ৪ অভ্যাস করলেই মিলবে রেহাই

ইউডিইএম-ভুক্ত মন্ট্রিল ক্লিনিকাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সেলুলার নিউরোবায়োলজি গবেষণার পরিচালক অধ্যাপক মিশেল ক্যাউয়েটের গবেষণা দল আবিষ্কার করেছেন কিছু বিশেষ কোষ। এগুলি রেটিনায় (গ্লিয়াল কোষ) সুপ্ত থেকে শঙ্কু কোষের সঙ্গে কিছু বৈশিষ্ট্য ভাগ করে নেয়। এই কোষগুলিই ফটোরিসেপ্টরজনিত কাজে সাহায্য করে, যা মানুষকে রং বোঝা, পড়া এবং গাড়ি চালানোর মতো কাজ করতে দেয়। উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া রেটিনার ক্ষয়ে যাওয়ার এই রোগ চোখের পিছনে থাকা আলো-সংবেদনশীল রেটিনা কোষের ক্ষতি হলে হয়। যখন এই কোষগুলি রোগের কারণে ক্ষয়ে যায়, তখন সেগুলিকে আর প্রতিস্থাপন করা হয় না।  রোগীর দৃষ্টিশক্তি কমে যায়  যা পরে সম্পূর্ণ অন্ধত্বের জায়গায় গিয়ে দাঁড়ায়।

মন্ট্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যামিল বউড্রেউ-পিনসনউল্ট লেখক বলেন, ‘আমরা দুটি জিন শনাক্ত করেছি। এই জিনগুলি যেগুলি এই সুপ্ত কোষে মুলার কোষ নামে প্রকাশিত হয়। তখন তাদেরই রেটিনাল নিউরোনে পাল্টে ফেলে।’ তিনি আরও বলেন ‘মজার বিষয় হল এই মুলার কোষগুলি মাছের রেটিনাকে আবার সক্রিয় এবং নতুন করে তৈরি করতে সাহায্য করে।‌ কিন্তু মানুষ সহ স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মধ্যে, সাধারণত আঘাত বা রোগের পরে তা হয় না। কেন জিনগুলি কাজ করে তা এখনও  বৈজ্ঞানিকদের গবেষণার বিষয়।’ আপাতত অপেক্ষা এই বিশেষ জিনটিকে জাগিয়ে তোলার।‌ এটি সক্রিয় হলে দৃষ্টিশক্তি হারানোর সমস্যার অনেকটাই সমাধান হবে।‌

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup