Rabindra Jayanti in Mongpu: দাঁড়িয়ে আছ তুমি আমার…মংপুতে গানে গানে রবি প্রণাম,পাহাড়ি যুবকের খালি গলায় গান

মংপুর টানে বার বার ছুটে যেতেন রবীন্দ্রনাথ। দার্জিলিং পাহাড়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত মংপু। প্রতি বছর রবীন্দ্র জয়ন্তীতে সেজে ওঠে মংপু। এবারও তার অন্যথা হয়নি। এখানেই আয়োজন করা হয়েছিল রবীন্দ্রজয়ন্তীর। পাহাড়ি সংস্কৃতির নানা দিক, রবীন্দ্রনাথের গান, তাঁর সাহিত্যের নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়েছে এদিন। বিশিষ্টজনের উপস্থিত ছিলেন এই অনুষ্ঠানে।

এদিকে প্রচুর পর্যটক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের টানে ছুটে যান মংপুতে। তবে মংপুতে আসা মানে রবীন্দ্রনাথের স্মৃতি বিজড়িত ভবন না দেখে ফেরেন না কেউ। আর রবীন্দ্রজয়ন্তীতে যাঁরা মংপু যান তাঁদের কাছে স্মৃতিটা একেবারেই অনন্য। রবীন্দ্রপ্রেমীদের কাছে কার্যত তীর্থক্ষেত্র এই মংপু। এবারও মংপুতে এসে অনন্য অভিজ্ঞতার সাক্ষী হলেন অনেকেই।

এদিন সেখানেই শোনা গেল এক পাহাড়ি যুবকের গলায় রবীন্দ্রসংগীত। উদাত্ত গান প্রতিধ্বনিত হল পাহাড়ের বুকে। একেবারে অন্যরকম পরিবেশ। দাঁড়িয়ে আছ তুমি আমার… পাহাড়ের বুকে রবি ঠাকুরের এই গান যেন এদিন অন্য়রকম শুনিয়েছে। 

জানা গিয়েছে ওই যুবক স্থানীয় এলাকাতেই থাকেন। মাঝেমধ্য়েই তিনি রবীন্দ্রভবনে চলে আসেন। সেখানে বসে থাকেন। আসলে পাহাড়ের বুকে এই মংপুতে বসে থাকার মধ্যেও শান্তি খুঁজে পান অনেকে। সেই যুবকই এদিন খালি গলায় গান গেয়েছেন। আর সেই গান শুনে আপ্লুত পর্যটকরা। অনেকেই মোবাইলে তুলে নিয়েছেন সেই গান। সোশ্য়াল মিডিয়ায় ঘুরছে সেই গান। কবির গানে কবি প্রণাম।

পাহাড়ের উপর প্রায় ৩৭০০ ফুট উচ্চতায় এই পাহাড়ি গ্রাম। দার্জিলিং থেকে দূরত্ব প্রায় ৪১ কিমি। সিটংয়ের একটি অংশ এটি। সিটং থেকেও এখানে আসা যায়। পেশক রোড ধরে জোড়বাংলো এলাকা পেরিয়ে আসতে হয় মংপুতে। চারপাশে অপূর্ব প্রাকৃতিক পরিবেশ। যারা মংপুতে একবার যান তাঁরা আবার সেখানে যেতে চান। এবারও রবীন্দ্রজয়ন্তীতে অনেকেই গিয়েছিলেন কবিগুরুকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাতে।

মংপুর পাহাড়কে ভালোবাসতেন কবি। আসলে মংপুর প্রেমে পড়েছিলেন কবিগুরুও। কথিত আছে প্রথমবার তিনি ১৯৩৮ সালে মংপুতে থাকতে এসেছিলেন। রবীন্দ্র স্নেহধন্য লেখিকা মৈত্রেয়ীদেবীর বাসভবনে দিন তিনেকের জন্য কাটাতে এসেছিলেন কবি। কিন্তু সেবার তিনি ১৬দিন কাটিয়ে গিয়েছিলেন ওই বাড়িতেই। পাশেই সিঙ্কোনার বাগান। সেসবও দেখেছিলেন কবি। পাহাড়ি মানুষ, তাঁদের সহজ সরল জীবন ছুঁয়ে গিয়েছিল কবির মনকে। এরপর আরও কয়েকবার মংপুতে এসেছিলেন কবি। বন্য ফুলের সম্ভার দেখে কবি বলেছিলেন, এ কিন্তু ফুলের রাজ্য, ফুলের দেশ। সেই মংপুতে পালিত হল রবিপ্রণাম।