Offbeat Darjeeling: কালিম্পংয়ের রিশপ যেন ডানাকাটা পরী, হাত বাড়ালেই কাঞ্চনজঙ্ঘা

মোখা বাংলার গরম কতটা কমাবে বাংলায় তা নিয়ে তর্কের অন্ত নেই। কিন্তু কলকাতায় মঙ্গলবারও একেবারে চাঁদি ফাটা গরম। বাইরে বের হওয়া যাচ্ছে না। সকাল থেকে যেন আগুনের গোলা। তবে মাঝে একটু মেঘলা ছিল। কিন্তু এই প্রচন্ড গরম থেকে একটু রেহাই পেতে অনেকেই পাহাড়ে দু তিন দিন কাটিয়ে আসতে চাইছেন। সমতলে যখন গরম, সেখানে তখনও কুয়াশা। এবার গরমের ছুটিতে বেড়িয়ে আসতে পারেন রিশপ। কালিম্পংয়ের সুন্দরী গ্রাম। চিরচেনা লাভা থেকে খুব কাছেই।

পাহাড়ের মাঝে নির্জন নিরিবিলিতে দুদিন কাটাতে হলে রিশপের কোন বিকল্প হয় না। এই গ্রামকে শুধু সুন্দরী বললে কম বলা হয়।। একেবারেই ডানা কাটা পরী।

এখান থেকে লাভা লোলেগাঁও, পেডং, ঋষি সহ একাধিক সুন্দর জায়গায় ঘুরে আসতে পারেন। কাছেই রয়েছে টিফিনদারা। এখান থেকে দেখতে পাবেন কাঞ্চনজঙ্ঘা। আসলে এই এক কিলোমিটার ট্রেকিং করে এসে টিফিনদারা ভিউ পয়েন্টে দাঁড়িয়ে অনেকে কাঞ্চনজঙ্গা দর্শন করেন। শ্বেত শুভ্র বরফের মুকুট পড়ে দাঁড়িয়ে আছে কাঞ্চনজঙ্ঘা। তবে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা নিঃসন্দেহে ভাগ্যের ব্যাপার। সামনে মেঘের আস্তরণ থাকলে দেখতে পাবেন না কাঞ্চনজঙ্ঘা।

রাস্তার দুপাশে পাইন, ফার, অর্কিডের সারি।তারই মাঝখান দিয়ে পথ। তবে দু পাশে যা দেখবেন তাতে ভুলে যাবেন পথের ক্লান্তি।

হিমালয়ের সিঞ্চুলা রেঞ্জে ৮৫০০ ফুট উচ্চতায় এই গ্রাম। বিশেষত শেরপা ও লেপচারা থাকেন এখানে। অনেকে বলেন রি মানে পাহাড়চূড়া আর শপ মানে পুরানো গাছ। এই দুই মিলে রিশপ। এখানে একাধিক হোমস্টে রয়েছে। আগে থেকে বুক করে সেখানে চলে আসতে পারেন।

মোটামুটি ১৯৯৮ সাল থেকে বাংলার পর্যটন মানচিত্রে উঠে আসে রিশপ গ্রাম।তারপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। আর এই প্রচন্ড গরমে সমতল যখন ফুটছে, তখন পর্যটক বোঝাই গাড়ি উঠছে রিশপের দিকে।

চালসা হয়ে অনেকে রিশপ আসেন। অনেকে আবার এনজেপি থেকে গাড়িতে রিশপ চলে আসেন। কালিম্পং থেকে ঋষপের দূরত্ব ২৮ কিমি। আর লাভা থেকে দশ কিমি দূরে রিশপ। তবে পাহাড়ি পথেই দশ কিলোমিটার বেরোতেই অনেকটা সময় কেটে যায়।