নারী নির্যাতনের অনেক অভিযোগের কথা শোনা যায়। কিন্তু পুরুষদের প্রতি নির্যাতনের ঘটনা কার্যত চাপা পড়ে যায় অনেকটাই। তেমনই ঘটনা এবার সামনে এসেছে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্কের প্রতিবাদ করেছিলেন স্বামী। আর তার জেরে স্বামীকে ধরে বেধড়ক মার স্ত্রী। অভিযোগ এমনটাই। বাটাম দিয়ে মেরে স্বামীর মাথাও ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি ওই মহিলার প্রেমিকও সঙ্গে ছিলেন। তিনিও এই মারধরে সহায়তা করেছেন বলে অভিযোগ। গোটা ঘটনায় এলাকায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ শহর সংলগ্ন সোহরাই মোড় এলাকার ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকালে প্রথমে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বচসা হচ্ছিল। তারপর তা চরম আকার নেয়। স্ত্রী একেবারে বাটাম নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন স্ত্রী। কিন্তু কেন এমন ঝগড়া শুরু হল?
সূত্রের খবর, সোমবার রাতে কাজ সেরে বাড়ি ফিরেছিলেন ২৭ বছর বয়সি ওই যুবক। এরপর তিনি স্ত্রী পরকীয়ার বিষয়টি ধরে ফেলেন। তখন থেকেই ঝামেলা চলছিল। পরে তা চরম আকার নেয়। জানা গিয়েছে বছর পাঁচেক আগে তাদের বিয়ে হয়েছিল। সম্প্রতি কালিয়ায়গঞ্জের এক যুবকের সঙ্গে মহিলার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারপর থেকেই আর স্বামীকে পছন্দ হচ্ছে না ওই মহিলার। কথায় কথায় ঝগড়া লেগেই আছে। আর এদিন তা চরম আকার নেয়।
ওই যুবককে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওই মহিলা ও তার প্রেমিকের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই মহিলা ও তার প্রেমিক গা ঢাকা দিয়েছে। পুলিশ তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলার স্বামী রায়গঞ্জের সুভাষগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা। তিনি ভাড়া বাড়িতে স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন। কিন্তু সুখের সংসারে আচমকাই তৃতীয় ব্যক্তি প্রবেশ করেন। তারপর থেকেই যত অশান্তি। ওই মহিলা নানা সময়ে ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়তেন। আবার বাইরে বেরিয়েও নানা রকম সন্দেহ করতেন স্বামী। দ্রুত বাড়ি ফিরে আসতেন। স্বামীকে নানাভাবে বুঝিয়েও কাজ হয়নি। প্রতিবাদ করতেই একেবারে ঝাঁপিয়ে পড়লেন স্ত্রী ও তার প্রেমিক। এরপর মাটিতে ফেলে মার।