অর্ধেক বেতন নিন, না হলে সরে যান, ৫ শিক্ষককে হঠাৎ শর্ত সরোজিনী নাইডু কলেজে

দমদম সরোজিনী নাইডু কলেজ ফর ইউমেন-এর পাঁচ চুক্তিভিত্তিক শিক্ষককে হঠাৎ করে অর্ধেকেরও কম বেতনে কাজের শর্ত দেওয়ার অভিযোগ উঠল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। শর্ত মেনে নেওয়ার জন্য বুধবার বিকাল ৫ পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়। না মানলে শিক্ষকদের চাকরি থেকে অপসৃত করার কথা বলা হয়। কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষে দেওয়া শর্ত মানেননি ওই পাঁচ শিক্ষক-শিক্ষিকরা। বুধবার রাত পর্যন্ত কলেজেই অবস্থান করেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার তাঁরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের অভিযোগ জানান।

পাঁচ শিক্ষকের অভিযোগ, ২০২১ সালে মনস্তত্ব বিভাগে তাঁদের নিয়োগ করা হলেও তা দেখানো হয় ব্যাকডেটে ২০১৯ সালে। ১৭ মাস কলেজে পড়ানোর পর হঠাৎ করে তাঁদের বলা হয় অর্ধেকের কম বেতনে কাজ করতে হবে। যুক্তি হিসাবে বলা হয়, যেহেতু কলেজে কোর্সটি ‘সেলফ ফিনান্সড কোর্স’, পর্যাপ্ত তহবিল না থাকায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষিকারা জানিয়েছেন, কলেজের থেকে বলা হয়, ছাত্র-ছাত্রী আনতে পারলে তাঁদের আগের বেতনই দেওয়া হবে। তবে কলেজ কর্তৃপক্ষের একাংশ মনে করেছেন, পরিকল্পনা না করে নিয়োগ করার ফলেই এই সমস্যা তৈরি হয়েছে।

শিক্ষিকা পিয়ল কর হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে বলেন, ‘আমাদের নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করে মৌখিক ভাবে আমাদের বলা হচ্ছে শর্ত না মানলে সরে যেতে। যুক্তি হিসাবে আমাদের ফান্ড না থাকার কথা বলা হচ্ছে।  আমরা তথ্যের অধিকার আইনে (আরটিআই) জানতে চাই ফান্ডের অবস্থা। কিন্তু আমাদের তা নিয়ে কোনও তথ্যই দেওয়া হয়নি। এমনি এখন কথা বলতে গেলে অধ্যক্ষা আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছেন। ‘ বুধবার অবধি শিক্ষক-শিক্ষিকারা নিয়মিত কলেজে গেছেন। সইও করে কাজ করেছেন। বৃহস্পতিবার থেকে অ্যাটেন্ডেন্স রেজিস্টার সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।

(পড়তে পারেন। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মতো ডাক্তারিতেও চালু হোক ডিপ্লোমা, ‘ভাবতে’ বললেন মমতা)

শিক্ষকদের অভিযোগ তাঁদের স্নাতকোত্তরের জন্য নিয়োগ করা হলেও স্নাতকস্তরে ক্লাস করানো হচ্ছিল। পাশাপাশি বিভিন্ন বিভিন্ন প্রশাসনিক কাজও করানো হচ্ছিল। এ নিয়ে কলেজের অধ্যক্ষা ঊর্মিলা উকিলের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলে তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। পাঁচ শিক্ষক-শিক্ষিকার জানিয়েছেন, এই সমস্যা সমাধান যদি না হয় তবে তাঁরা রাজ্যপালেরও দ্বারস্থ হবেন। প্রয়োজনে তাঁরা হাইকোর্টেও যাবেন।