Monkey Pox: কোভিডের পর এবার মাঙ্কি পক্স, জরুরী অবস্থা তুলে নিল WHO, কমেছে সংক্রমণ

বৃহস্পতিবার বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়ে দিল মাঙ্কি পক্সকে ঘিরে বিশ্বজুড়ে যে জরুরী অবস্থা ছিল তা তুলে নেওয়া হল। এক বছর ধরে মাঙ্কিপক্স নিয়ে যে জরুরী অবস্থা ছিল তার অবসান ঘটানো হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে এই মাঙ্কি পক্স মূলত একটি ভাইরাল রোগ। বিশ্বের প্রায় ১০০টি দেশে এই মাঙ্কি পক্স ছড়িয়ে পড়েছিল।

২০২২ সালের জুলাই মাসে বিশ্বজুড়ে জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার ক্ষেত্রে এই মাঙ্কি পক্সের নিরিখে জরুরী অবস্থা জারি করা হয়। এদিকে এই মাঙ্কি পক্স কোন পর্যায়ে রয়েছে তা নিয়ে হুর এমার্জেন্সি কমিটি একাধিকবার পর্যালোচনা করেছে। শেষ পর্যন্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল আধানোম ঘেব্রেয়িয়েসাস এই এমার্জেন্সির অবসানের কথা ঘোষণা করে দেন।

সেই সঙ্গেই জানা গিয়েছে বডি ফ্লুইডের সঙ্গে প্রত্যক্ষ সংযোগ হলে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা ছিল। তবে একবার এই রোগে আক্রান্ত হলে প্রথম দিকে জ্বর শুরু হত। এরপর গায়ে নানা ধরনের ফোসকা পড়ত। তার সঙ্গেই পুঁজ দেখা যেত। গোটা শরীরে ছড়িয়ে পড়ত এই ফোস্কা।

বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান জানিয়েছেন, বিগত দিনের তুলনায় মাঙ্কি পক্সে আক্রান্তের সংখ্য়া ৯০ শতাংশ কমে গিয়েছে। ২০২২ সালের প্রথম দিকে গোটা বিশ্বজুড়ে অন্তত ৮৭,০০০ মাঙ্কি পক্স আক্রান্তের খবর মিলেছিল।

 

এদিকে এর আগে গত ৫ মে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোভিড ১৯এর গ্লোবাল এমার্জেন্সি স্ট্যাটাস তুলে নেওয়া হয়েছিল। তিন বছর আগে যে ঘোষণা করা হয়েছিল তা প্রত্যাহার করা হয়। কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা কমে যাওয়ার জেরেই এই সিদ্ধান্ত। তবে এবার কোভিডের পরে মাঙ্কি পক্সের ক্ষেত্রেও গ্লোবাল এমার্জেন্সি প্রত্যাহার করে নেওয়া হল। এতে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেলেন বিশ্ববাসী।

এদিকে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার প্রধানের তরফে টুইট করে বলা হয়েছে, এম পক্সের এমার্জেন্সি কমিটি আমার সঙ্গে দেখা করছিল। তারা সুপারিশ করেছে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে মাঙ্কি পক্স আর জনস্বাস্থ্যে ক্ষেত্রে জরুরী অবস্থার মতো পরিস্থিতিতে নেই। পরের টুইটে তিনি লেখেন, আমি তাঁদের পরামর্শ মেনে নিচ্ছি। আমি ঘোষণা করছি যে মাঙ্কি পক্স আর গ্লোবাল হেল্থ এমার্জেন্সির মতো পরিস্থিতিতে নেই।