চিংড়িঘাটা মোড়ে শুরু যান নিয়ন্ত্রণ কেন?‌ এবার অগ্নিপরীক্ষা ট্রাফিক পুলিশের‌

‌চিংড়িঘাটা মোড় থেকে ইএম বাইপাস—এই রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণ নতুন করে ভাবিয়ে তুলেছে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশকে। কারণ রোজকার যান নিয়ন্ত্রণ করা এক ব্যাপার। আর মেট্রো রেলের কাজ চলাকালীন যান নিয়ন্ত্রণ করা আর এক ব্যাপার। শনিবার এই বিষয়ে খানিকটা টের পেয়েছেন পুলিশ কর্মীরা। ট্রাফিক ডায়ভারশান নিয়ে গতকাল ট্রায়াল রান দিতেই টের পাওয়া গিয়েছে বিষয়টি উত্তরোত্তর কঠিন হয়ে উঠতে পারে। এমনিতেই এখানে পথ দুর্ঘটনা ঘটলেই ‘স্টপ লাইন’ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। সেখানে মেট্রোর কাজ চলাকালীন ট্রাফিক ব্যবস্থা ঠিক রাখতেই চলছে পরীক্ষা।

এদিকে শনিবার চিংড়িঘাটা মোড়ে যান নিয়ন্ত্রণ শুরু করেছে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ। এখানে গত কয়েক বছর ধরে মেট্রো রেলের স্তম্ভ তৈরির কাজ আটকে রয়েছে। তার জেরে থমকে গিয়েছে নিউ গড়িয়া–বিমানবন্দর মেট্রোর কাজও। এখন কলকাতাকে মেট্রো দিয়ে মুড়ে ফেলতে চাইছে রেল। তাই ইএম বাইপাস থেকে সল্টলেকগামী মেট্রোপথের জন্য চিংড়িঘাটা মোড়ে ৩১৮ নম্বর স্তম্ভ তৈরি করা প্রয়োজন। কিন্তু যানজট চরমে উঠবে বলে এতদিন অনুমতি দেয়নি কলকাতা পুলিশ। এবার নতুন করে কাজ শুরু করতে চায় মেট্রো। তাই চারদিন এখানে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করেছে পুলিশ। শনিবার খানিকটা হালকা যানজট সামলাতে হয়েছে। রবিবার তেমন যানজট সামলাতে হবে না। তবে সোমবার এবং মঙ্গলবার বেগ পেতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

অন্যদিকে ইএম বাইপাসের উপরে ১৬ মিটার দীর্ঘ এবং ১৬ মিটার চওড়া জায়গা গার্ডরেল দিয়ে ঘেরা। সেখানে একটি জায়গায় রং দিয়ে লেখা পি–৩১৮। এই বিষয়ে এক পুলিশকর্মী বলেন, ‘ওখানেই ৩১৮ নম্বর স্তম্ভ উঠবে। তাই আমরা মনিটরিং করছি সেক্টর ফাইভ থেকে চিংড়িঘাটায় যেসব গাড়ি আসছে সেগুলির উপর। যাতে যানজট না হয়। উল্টোডাঙা থেকেও যেসব গাড়ি আসছে সেগুলির উপর নজর রয়েছে। আমরা সিগনালের সময় পরিবর্তন করছি। সেটা ব্যস্ত এবং স্বাভাবিক সময়ে। আশা করছি ভাল পরিষেবা দিতে পারব।’ সায়েন্স সিটিগামী যান চলাচলের জন্য ছাড়া হয়েছে। উল্টোডাঙার দিকে যাওয়ার রাস্তা কিছুটা সরু করে ক্যানাল ওয়েস্ট রোড দিয়ে বাইপাস থেকে গাড়ি পাঠানো হচ্ছে। আর ইএম বাইপাসমুখী গাড়ি যাচ্ছে চাউলপট্টি রোড ধরে। পথচারীদের ফুট ওভারব্রিজ ব্যবহার করতে বলা হয়েছে।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ ট্রাফিকের এই ট্রায়াল নিয়ে একটি রিপোর্ট লালবাজারে জমা দেবে পুলিশ। এখন স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি পড়ে গিয়েছে। তাই সেখানে গাড়ির চাপ খানিকটা কম। তবে ট্র্যাফিক পুলিশের এক উচ্চপদস্থ কর্তা বলেন, ‘মঙ্গলবার পর্যন্ত দেখা হবে। শনিবার–রবিবার গাড়িচালকদের কিছুটা অভ্যাস করার জন্য এটা করা হল। সোমবারের ব্যস্ত দিনে যানজট হচ্ছে কি না, তা দেখেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’ যানজট সামলে এবার হয়তো স্তম্ভ নির্মাণের ছাড়পত্র মিলবে।