India s biggest drug haul: ‘অপারেশন সমুদ্রগুপ্ত’ এর হাত ধরে ১২ হাজার কোটি টাকার মাদক উদ্ধার কোচ, গ্রেফতার ১ পাকিস্তানি

ভারতের মাদক উদ্ধারের ঘটনায় সাড়া ফেলে দিয়ে ১২ হাজার কোটি টাকা মূল্যের মাদক কোচি থেকে উদ্ধার করল এনসিবি। নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো বা এনসিবি শনিবার কোচি সংলগ্ন জলসীমা থেকে ২,৫০০ কেজির মাদক উদ্ধার করেছে। এই মাদকের মধ্যে রয়েছে বিপজ্জনক ক্রিস্টাল মেথ। এই উদ্ধারে এনসিবিকে সহায়তা করেছে ভারতীয় নৌসেনা।

কোচি থেকে এই মাদক উদ্ধারের ঘটনায় এক পাকিস্তানি নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর। জানা যাচ্ছে, এনসিবির তরফে ‘অপারেশন সমুদ্রগুপ্ত’ চলছে দেশের বহু জলসীমায়। সেখান থেকে বেআইনি মাদক পাচারের কারবার বন্ধ করতেই এই পদক্ষেেপ। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই বিষয়ে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন। এনসিবির ডেপুটিি ডিজি সঞ্জয় কুমার সিং বলছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নির্দেশ অনুযায়ীই এই অপারেশন চালানো হচ্ছে। এই অপারেশনে ভারতীয় নৌসেনার সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে অভিযানে নেমেছে এনসিবি। নৌসেনা সূত্রেই তারা খবর পেয়ে এই অভিযান শুরু করে। জানা গিয়েছে, যে নৌজাহাজে করে এই বিশাল পরিমাণ মাদক ভারতে আসছিল , সেই জাহাজটিকে উদ্ধার করা যায়নি। সেই জাহাজ ডুবে গিয়েছে জলে।  সঞ্জয় সিং বলেন, ‘আমরা একজন পাকিস্তানি নাগরিককে এই ঘটনায় গ্রেফতার করেছি।’ তিনি আরও বলেন,’চারবাহার উপকূল থেকে এই জাহাজগুলি আসছিল। আর পাকিস্তানে তাকে ভরতি করা হচ্ছে মেথামফেটিন বা ক্রিস্টাল মেথ মাদক দিয়ে।’ তিনি বলছেন, যে জাহাজ বোঝাই মাদক আসছিল তা ভারত, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপে বিক্রির জন্য আসছিল। তিনি আরও জানান, এই মাদকগুলি, ইরান, পাকিস্তান, আফগানিস্তান থেকে আসে। 

( সিবিএসইর দ্বাদশে ৭৩ শতাংশ নম্বর পাওয়ায় আত্মঘাতী পডুয়া! চলছিল আইআইটির প্রস্তুতি)

জানা গিয়েছে, ওই জাহাজ থেকে মেথামফেটিনের ১৩৪ টি প্লাস্টিকের বস্তায় উদ্ধার হয়েছে। এই জাহাজ ঘিরে নজর দেয় নৌসেনা। এরপর জেরা চলাকালীনই ধরা পড়ে যায় গোটা ঘটনা। উল্লেখ্য, অপারেশন সমুদ্র গুপ্তের হাত ধরে ভারতীয় জলসীমায় আসা জাহাজে কোনও মাদক থাকলে তা ধরা হয়। এই ঘটনায় যে ‘মাদার শিপ’ ধরা পড়েছে, তার সম্পর্কে বিশদে জানা যায়নি। সেই জাহাজ কোন সংস্থার তাও জানা যায়নি।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup