Congress on Adani Group: আদানি গোষ্ঠীকে নিয়ে কি সংসদকে বিভ্রান্ত করেছে সরকার? কোন তথ্য পেশ করে প্রশ্ন রমেশের

কর্ণাটক বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের হাইভোল্টেজ জয়ের পর এবার ফের একবার আদানি ইস্যুতে বিজেপিকে আক্রমণ করতে শুরু করল কংগ্রেস। কংগ্রেসের প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান নেতা জয়রাম রমেশ প্রশ্ন তুলেছেন যে, আদানি ইস্যুতে সরকার কি সংসদকে বিভ্রান্ত করছিল একটি তদন্তের সাপেক্ষে নাকি যখন বিনিয়োগকারীরা প্রতারিত হচ্ছিলেন, তখন ‘ঘুমোচ্ছিল’ সরকার?

জয়রাম রমেশ এদিন তাঁর এক টুইটে আদানি প্রসঙ্গ তুলে কেন্দ্রীয় সরকারকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি। তিনি টুইটে লেখেন, ‘২০২১ সালের ১৯ জুলাই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরি সংসদে বলেছিলেন, আদানি গোষ্ঠী নিয়ে সেবি তদন্ত করছে।’ একই সঙ্গে রমেশের দাবি, ‘এখন সুপ্রিম কোর্টে সেবি বলছে, কোনও গুরুতর মামলা নিয়ে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তদন্ত হয়নি! কোনটা খারাপ? সংসদকে বিভ্রান্ত করা, নাকি অর্থ জালিয়াতি ভুয়ো সংস্থা দ্বারা বিনিয়োগকারীরা যখন প্রতারিত হচ্ছেন, তখন ঘুমি থাকা? নাকি আরও খারাপ এটা যে, উপর থেকে কোনও সংযত হাত এতে থাকা?’

( ‘মণিপুরের অখণ্ডতার সঙ্গে আপোস নয়’, বীরেন সিংকে সাফ বার্তা অমিত শাহের)

( ৯ রাজ্যের ভোট আসছে! ২ টিতে সরকারে বিজেপি, ২ টিতে কংগ্রেস, স্লগ ওভারে লড়াইয়ের আগে অঙ্ক একনজরে)

উল্লেখ্য, এর আগে বাজেট অধিবেশনে রাহুল গান্ধী আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতি মামলা প্রসঙ্গে নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে একাধিক বক্তব্য রাখেন। তারপরই তার জবাব দেন নরেন্দ্র মোদী। আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আর্থিক জালিয়াতির বড়সড় অভিযোগ ইতিমধ্যেই হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টে উঠে আসে। যা নিয়ে তোলপাড় হয় জাতীয় রাজনীতি।

উল্লেখ্য, আদানি গোষ্ঠীকে নিয়ে জয়রাম রমেশ যে প্রসঙ্গে আজ টুইট করেছেন, তা ২০২১ সালের। সেবার তৃণমূলের কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র এক প্রশ্ন তোলেন, তার উত্তরেই তৎকালীন কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রীর তরফে আসে জবাব।

এদিকে, সদ্য় হিন্দুস্তান টাইমস জানতে পেরেছে, কোনও তালিকাভূক্ত সংস্থাকে ‘গ্লোবাল ডিসপোজিটারি রিসিট’ ঘিরে ২০১৬ সাল থেকে তদন্ত করেনি সেবি বা সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া। এদিকে, মহুয়া মৈত্রের প্রশ্নের জবাবে পঙ্কজ চৌধুরি জানিয়েছিলেন, ‘সেবি আদানি গোষ্ঠীর কিছু সংস্থাকে তদন্ত করছে, সেবির নিজস্ব কয়েকটি বিধি ঘিরে। ’