Tamil Nadu Hooch Tragedy: তামিলনাড়ুতে বিষমদ খেয়ে মৃত্যু ৩ মহিলা সহ অন্তত ১০ জনের, হাসপাতালে আরও ৩০

রবিবার তামিলনাড়ুর ভিলুপুরম এবং চেঙ্গলপাট্টু জেলায় বিষমদ খেয়ে তিন মহিলা সহ অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে সেই বিষ মদ খেয়েই আরও ৩০ জন গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভরতি বলে জানা গিয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার ভিলুপুরম জেলার মারাক্কানামের কাছে এককিয়ারকুপ্পামের ছয়জন বাসিন্দা মারা গিয়েছেন বিষমদের জেরে। এদিকে চেঙ্গলপাট্টু জেলার মাদুরান্তগামে শুক্রবার দু’জনের এবং রবিবার এক দম্পতির মৃত্যু হয়েছে।

এদিকে স্থানীয় প্রশাসনের আধিকারিকরা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বর্তমানে প্রায় ৩০ জনের মতো হাসপাতালে ভরতি রয়েছেন। তাদের চিকিৎসা চলছে। এদের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে বলে দাবি করা হয়। এদিকে ঘটনার পর, পুলিশের ইনস্পেক্টর জেনারেল (উত্তর) এন কান্নান যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেছেন মৃত ১০ জনই সম্ভবত ইথানল-মিথানল পদার্থের সাথে মিশ্রিত বিষমদ খেয়েছিলেন। তারই জেরে এই পরিণতি। এদিকে তিনি জানান, এককিয়ারকুপ্পাম এবং মাদুরান্তগামের ঘটনা দু’টি পৃথক। যদিও দুটোই উত্তর তামিলনাড়ুতে ঘটেছে। এই দুই ঘটনার পৃথক ভাবে তদন্ত হচ্ছে বলে জানান আইজি। তিনি জানান, এখনও পর্যন্ত দুই ঘটনার মধ্যে কোনও যোগসূত্র পাওয়া যায়নি। তবে দুই ঘটনার মধ্যে কোনও যোগ রয়েছে কিনা, তা ভালো ভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে আশ্বাস দেন তিনি।

সাংবাদিকদের আইজি কান্নান বলেন, ‘দুটি বিষমদ সেবনের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। একটি চেঙ্গলপাট্টু জেলায় এবং অপরটি ভিলুপুরম জেলায়। শনিবার মারাক্কানামের কাছে ভিলুপুরম জেলার অন্তর্গত এককিয়ারকুপ্পাম গ্রামে ৬ জন বমি, চোখ জ্বালা এবং মাথা ঘোরার অভিযোগ নিয়ে হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন। খবর পেয়ে পুলিশেরই একটি দল গ্রামে পৌঁছে অসুস্থদের হাসপাতালে ভরতি করেছিল। এর মধ্যে চারজন মারা গিয়েছে (পরে আরও দু’জন মারা যান)। পরে আরও অনেকেই হাসপাতালে ভরতি হম। হাসপাতালে ভরতি হওয়া ৩৩ জনের চিকিৎসা চলছে। তারা ভালো আছেন। এ ঘটনায় আমরণ নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে এবং তার কাছ থেকে বিষমদও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এতে মিথানলের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।’

এদিকে পুলিশ কর্তা আরও বলেন, ‘রবিবার সকালে চেঙ্গলপাট্টু জেলার চিথামুর থেকে একটি খবর পাওয়া যায় যে যেখানে একটি পরিবারের দুই ব্যক্তি মারা গিয়েছেন। সেই পরিবারেরই অপর একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। প্রাথমিকভাবে, আমরা ভেবেছিলাম পারিবারিক বিরোধের কারণে এটি একটি আত্মহত্যার প্রচেষ্টা হতে পারে। তবে তাদের লক্ষণগুলি দেখার পরে আমরা নিশ্চিত হই যে এটা বিষমদ সেবনের ঘটনা। এর পর এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়। পরে একই ধরনের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় আরও দু’জনকে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। মোট চারজনের মৃত্যু হয়েছে সেখানে। মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে এবং ঘটনার সাথে জড়িত আম্মাভাসাই নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’