অপ্রশিক্ষিতের সংখ্যা ৩০,১৮৫, রায় সংশোধনের আবেদন জমা পড়ল আদালতে

প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে শুক্রবার ৩৬,০০০ শিক্ষকের চাকরি বাতিল করেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আদালতের এই রায়ের পর শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা রাজ্যজুড়ে। আশঙ্কিত প্রাথমিকের পড়ুয়া ও অভিভাবকরাও। এরই মধ্যে রায় সংশোধনের আবেদন জমা পড়ল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। মামলাকারীদের আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি জানিয়েছেন, অপ্রশিক্ষিত প্রার্থীর সংখ্যা ৩০,১৮৫।

২০১৬ সালে প্রাথমিকের নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা। সেই মামলার রায়ে শুক্রবার ৩৬,০০০ অপ্রশিক্ষিত চাকরিপ্রার্থীদের বহিষ্কার করেছে আদালত। মামলাকারীরা আদালতকে জানিয়েছে, ওই বছর মোট ৪২,৪৪৯ জন শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছিল। তার মধ্যে ৬,৪৪৯ জনের প্রশিক্ষণ ছিল। বাকিদের প্রশিক্ষণ ছাড়াই নিয়োগ করা হয়। NCTE-র নির্দেশ ছিল প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের নিয়োগ করতে হবে। তার পর শূন্যপদ থাকলে সেখানে নিয়োগ করা যাবে অপ্রশিক্ষিতদের। কিন্তু নিয়োগপ্রক্রিয়া শেষ হলে দেখা যায় তখনও বহু প্রশিক্ষিত প্রার্থী নিয়োগপত্র পাননি। এছাড়া নিয়োগপ্রক্রিয়ায় সংরক্ষণবিধি মানা হয়নি বলে প্রমাণ হয়েছে আদালতে।

তবে রায়ের কপি প্রকাশ্যে আসার পর মামলাকারীদের আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি দেখেন, প্রকৃত অপ্রশিক্ষিতের সংখ্যা ৩০,১৮৫। এর পরই রায় সংশোধনের আবেদন জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।