‘‌আমার পক্ষে যতটা করা সম্ভব তা করব’‌, লিট্টিচোখা খেয়ে বড় প্রতিশ্রুতি অভিষেকের

জামুরিয়াবাসীকে দীর্ঘদিনের চাহিদা পূরণের প্রতিশ্রুতি দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার রাতে জামুড়িয়ার কেন্দায় লিট্টিচোখা খাওয়ার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। সেখানে তিনি স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন বহু কাজ হলেও জলের সমস্যাটা রয়েই গিয়েছে। পানীয় জলের সংকট এবং শিল্প ও খনি অঞ্চল জামুড়িয়ায় নেই দমকল কেন্দ্র। এই দুটি কথা তাঁর কানে তুলে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আর তারপরই পানীয় জল থেকে দমকল কেন্দ্র নিয়ে বড় ঘোষণা করলেন অভিষেক।

এখন এখানে অগ্নিকাণ্ড ঘটলে আসানসোল–রানিগঞ্জের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হয় জামুরিয়াকে। আর জামুড়িয়ার মানুষের এই দুই চাহিদা পূরণ হয়নি। ওই দুই চাহিদা দ্রুত পূরণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অভিষেক বলেন, ‘‌আমার পক্ষে যতটা করা সম্ভব তা করব।’‌ লিট্টিচোখা খাইয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এই প্রতিশ্রুতি পেয়ে রীতিমতো খুশি জামুড়িয়ার বাসিন্দারা। লিট্টিচোখা মূলত বিহারীদের খাবার। আর এটা নিয়েই অভিষেক বলেন, ‘‌বাংলার মাটি সম্প্রীতির মাটি, এখানে জাতি, ধর্ম, ভাষার কোনও ভেদাভেদ নেই। আমরা এক হয়ে থাকি এবং ১০০ বছর পরও আমাদের এই পরিবেশ নষ্ট করতে পারবে না কোনও গুজরাতি নেতা।’‌

এদিকে ততক্ষণে সবাই বুঝে গিয়েছেন আক্রমণের মুখ কোনদিকে। কারা বাংলার এই সম্প্রীতি নষ্ট করতে চাইছেন?‌ সেটাও বুঝে যান মানুষজন। অন্ডাল থানার উখড়ায় রোড –শো শেষে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয় জামুড়িয়ার কেন্দা আসার যাত্রাপথে তিনি দেখতে পান, পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভার হরিপুর এলাকায় ফাঁকা মাঠ দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী থেকে সাধারণ মানুষ তাঁকে দেখার জন্য দৌড়চ্ছেন। তখনই অভিষেক কনভয় থামিয়ে দেন। আর সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। তাঁকে কাছে পেয়ে সেলফি তোলার হিড়িক পড়ে যায়। যা সামলাতে হিমশিম খান নিরাপত্তা কর্মীরা। এরপর অনুষ্ঠানে যোগ দেন অভিষেক।

এই মঞ্চে তাঁর সঙ্গে ছিলেন আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা। তিনি মঞ্চ বাঁধা দেখে বলেন, ‘‌এখানে বক্তব্যের জন্য মঞ্চ বেঁধে ঠিক কাজ হয়নি। আমি তো লিট্টিচোখা খেতে এসেছি। আর গল্প করতে এসেছি।’‌ আসানসোলের সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহার পাশে বসে লিট্টিচোখা খান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর উপস্থিত জনতার উদ্দেশে বলেন, ‘‌আমি কোনও রাজনৈতিক বক্তব্য রাখব না। শুধু একথা বলতে চাই, আমি যে ব্যবস্থা করেছি তাতে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী নির্বাচন করবেন সাধারণ মানুষই। দু’–তিনমাস অন্তর আমি পশ্চিম বর্ধমানে আসব। আপনাদের ভালবাসা আমাকে কাছে টেনে নিয়েছে। আপনাদের ও আমার মাঝে আর কেউ থাকবে না।’‌