তৃণমূলে ভাঙন! পাথপ্রতিমায় ISF-এ যোগ দিলেন প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান-সহ শতাধিক

পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূলে ভাঙন দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। পাথরপ্রতিমায় ঘাসফুল ছেড়ে আইএফএস-এ যোগ দিলেন প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান-সহ প্রায় শতাধিক তৃণমূল কর্মী। এঁদের মধ্যে একজন শাসকদলের বর্তমান পঞ্চায়েত সদস্যও আছেন। ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিক একটি সভায় এই যোগদান পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সব দলই শক্তি বাড়াতে মরিয়া। এর মধ্যে শনিবার শাসকদলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান-সহ প্রায় একশ তৃণমূল কর্মী নাম লেখালেন আইএসএফে। এ দিন পাথরপ্রতিমার দক্ষিণ গঙ্গাধরপুরে সভা ছিল ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির। সেই সভাতেই আইএফএসে যোগ দেন তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান আলাউদ্দিন মোল্লা, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য হাজি সইফুদ্দিন পাইক ও বর্তমান পঞ্চায়েত সদস্য গৌতম হালদার-সহ শতাধিক তৃণমূল কর্মী। তাঁদের হাতে পতাকা তুলে দেন ভাঙড়ের বিধায়ক। কেন এই দলবদল? এই উত্তরে প্রাক্তন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা দাবি, তৃণমূলে যা চলছে তাতে কাজের লোকেদের সম্মানহানি হচ্ছে। সেই কারণেই তাঁরা দলবদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

পঞ্চায়েত ভোটের আগে শাসকদল ভেঙে তাদের দলে যোগ দেওয়ায় স্বাভাবিক ভাবে অক্সিজেন পেয়েছে আইএসএফ। দলের দক্ষিণ ২৪ পরগনার সহ-সম্পাদক বাহাউদ্দিন মোল্লা বলেন, ‘তৃণমূলের অন্যায় কেউ মেনে নেবে না। এই ভাবেই তৃণমূল ছেড়ে আইএসএফের প্রতি মানুষ ঝুঁকবে।’

(পড়তে পারেন। ‘কেস খাওয়া কপালে লেখা, তৃণমূলও বাদ গেল না, তবে গরু বা কয়লাপাচারে নয়!’ বললেন মদন)

তবে শাসকদল এই দলবদলকে খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছে না। পাথরপ্রতিমার বিধায়ক সমীর জানার দাবি, ‘যাঁরা আজ তৃণমূলে যোগ দিলেন, বহু আগেই তৃণমূল থেকে তাঁরা দূরে। বিভিন্ন অনৈতিক কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগে তাঁদের বহিষ্কার করা হয়েছিল। এর ফলে তৃণমূলের কোনও ক্ষতি হবে না।’