Dress code: শাড়ি পরে স্কুলে আসতে হবে দিদিমণিদের, জিন্স, টি শার্ট নয়,শিক্ষিকাদের বড় নির্দেশ ওই রাজ্যে

বিজেপি শাসিত অসমে এবার স্কুল শিক্ষিকাদের জন্য নয়া নির্দেশ জারি হল। এবার আর জিন্স, টি শার্ট বা লেগিংস পরে স্কুলে আসা যাবে না। এবার সরকারি স্কুলের সমস্ত শিক্ষিকাকে বাধ্য়তামূলকভাবে শাড়ি পরে স্কুলে আসতেই হবে। এদিকে এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, শুধুমাত্র শাড়ি পরে আসলেই হবে না শাড়ির রং যাতে চকচকে না হয় সেটাও খেয়াল রাখতে হবে শিক্ষিকাদের। কিন্তু কেন এই নির্দেশিকা?

শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, আসলে শিক্ষিকাদের একাংশ নিজেদের পছন্দ মতো পোশাক পরে স্কুলে আসেন। পড়ুয়াদের যদি ড্রেস কোড থাকে তবে শিক্ষিকাদের কেন নির্দিষ্ট ড্রেস কোড থাকবে না?

মূলত রুচিসম্মত ও মার্জিত পোশাক পরার উপরেই জোর দেওয়া হচ্ছে। আর যাঁরা এই নির্দেশ মানবেন না তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।

মোটের উপর জিন্স, লেগিন্স সহ অন্যান্য় পোশাক পরে স্কুলে এলে সমাজে একটা বিরুপ প্রভাব পরতে পারে। সেকারণেই এবার শাড়ি পরে স্কুলে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

শিক্ষাদফতরের তরফে জানানো হয়েছে, টি-শার্ট, লেগিন্স, জিন্স পরে স্কুলে আসা যাবে না। বলা হয়েছে ক্যাজুয়াল বা পার্টি পোশাক পরে আসা যাবে না স্কুলে। অসমের ডিপার্টমেন্ট অফ স্কুল এডুকেশনের তরফে এই নির্দেশ জারি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, দেখা যাচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কিছু শিক্ষিকা তাঁদের পছন্দ মতো পোশাক পরে স্কুলে আসছেন। কিন্তু বৃহত্তরক্ষেত্রে পাবলিকের কাছে তা অনেক সময় গ্রহণযোগ্য হয় না। তবে একজন শিক্ষকের কাছে সমস্ত ধরনের মার্জিত পোশাকটাই প্রত্যাশিত। মূলত যখন তাঁরা ডিউটিতে থাকেন। যেমন শাড়ি, সালোয়ার বা মেখলা চাদর। সেই ধরণের ড্রেস কোড তাঁদের প্রয়োজন যেটা মার্জিত পেশাসুলভ ও কর্মক্ষেত্রের সঙ্গে মানানসই হতে পারে।

আর সেই নিরিখেই এবার নয়া নির্দেশ। এমনকী দিদিমণিদের পোশাকের রঙও যাতে চকমকে না নয়, অর্থাৎ যাকে বলে সোবার কালার সে ধরনের হয় সেটাও বলে দেওয়া হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে বিশেষ কোনও রঙের কথা উল্লেখ করা হয়নি।

তবে শিক্ষকদের জন্য মার্জিত প্যান্ট শার্টের কথা বলা হয়েছে।