Madhyamik Result 2023: বাবা সবজি বেচেন, প্রতিকূলতাকে হারিয়ে মাধ্যমিকে নবম বক্সিরহাটের তুষার,অঙ্কে ১০০, একেই বলে লড়াই

অসম সীমান্ত লাগোয়া বক্সিরহাট। সেখানকার সুভাষপল্লির বাসিন্দা তুষার দেবনাথ। সেই তুষারই এবার মাধ্য়মিকে নবম। তার নম্বর কার্যত তাক লাগিয়ে দিয়েছে সকলকে। বাবা তপন দেবনাথ সবজি বিক্রেতা। বক্সিরহাট বাজারে তিনি সবজি বেচেন। কোচবিহারের একেবারে প্রান্তিক এলাকার বাসিন্দা তুষার। আর সেই গ্রাম থেকেই গোটা বাংলার নজর কেড়েছে তুষার।

কলকাতার প্রচারের আলো থেকে অনেক দূরে থাকে তুষারের মতো প্রতিভাবান ছেলে মেয়েরা। অনেকে দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করে এগিয়ে যান।আবার অনেক প্রতিভা হারিয়ে যায় সুযোগের অভাবে। তবে লড়াই করে বহু নামী স্কুলের পড়ুয়াদের টপকে একেবারে নবম স্থান দখল করেছে তুষার। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৪।

সে বাংলায় পেয়েছে ৯৩, ইংরাজিতে ৯৯, অঙ্কে ১০০, ভৌত বিজ্ঞানে ১০০, জীবন বিজ্ঞানে ৯৯, ইতিহাসে ৯৩ ও ভূগোলে ১০০ নম্বর পেয়েছে।

তুষারের ভাই তরুণ নবম শ্রেণিতে পড়ে। পরিবারে নিত্য অভাব। তবুও সন্তানদের পড়াশোনার কোনও ঘাটতি রাখেননি তপনবাবু। তিনি চান পড়াশোনাকে আঁকড়ে ধরে অনেকটা এগিয়ে যাক তাঁর সন্তানরা। সেই ভোর থেকে রাত পর্যন্ত অক্লান্ত পরিশ্রম। তবুও সব সময় দুই ছেলের পড়াশোনার প্রতি নজর রেখেছেন তুষারের মা ও বাবা। পড়াশোনার ফাঁকে তুষার মাঝেমধ্যেই বাবাকে সহায়তা করত। তবে পড়াশোনায় যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেদিকে খেয়াল রেখেছে সে।

তুষারের জাঠতুতো দাদা উৎস দেবনাথ হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে জানিয়েছেন, টাকার অভাবটা একটা বড় অন্তরায়। তবে ওদের যাতে স্বপ্নপূরণ হয় তার জন্য় সবরকম চেষ্টা করা হচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রে খবর, ২০০৩ সালে বক্সিরহাট থেকে মাধ্যমিকে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছিল এক ছাত্র। ঠিক ২০ বছর বাদে আবার মাধ্য়মিকের মেধাতালিকায় নাম তুলেছে বক্সিরহাটের ছাত্র। তবে এবার বড় চিন্তা আগামীদিনে উচ্চশিক্ষা কীভাবে হবে?

তুষার আগামীদিনে চিকিৎসক হতে চায়। সেকারণে সে আরও ভালো করে পড়াশোনা করে এগোতে চাইছে। তবে দারিদ্রতা, এলাকায় সুযোগ সুবিধা না থাকাটা একটা বড় অন্তরায়। তবে সেই বাধা টপকে সাফল্য়ের শৃঙ্গে উঠতে চায় তুষার।