একশো দিনের কাজ নিয়ে নয়া নির্দেশ এল বাংলায়, কবে টাকা ছাড়বে কেন্দ্রীয় সরকার?

একশো দিনের কাজের টাকা আটকে রাখা হয়েছে বলে বারবার সোচ্চার হয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রত্যেকটি জেলায় এই অধিকার পাওয়ার জন্য বড় আন্দোলন করা হবে বলে প্রচার করছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গত দু’‌বছর ধরে আটকে রাখা হয়েছে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের টাকা। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসের পর ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে কোনও টাকা ঢোকেনি বাংলায়। এই খাতে এখন বকেয়া প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা। এমন আবহে বাংলাকে নতুন করে চিঠি দিল কেন্দ্রীয় সরকার। আর তখনই প্রশ্ন উঠছে, কবে মিলবে প্রাপ্য টাকা?‌

এদিকে বাংলার গ্রামীণ অর্থনীতির একটা গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম ১০০ দিনের কাজ। সেখানে টাকা না পেয়ে তাঁদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। বাধ্য হয়ে বাজি কারখানায় কাজ করতে যাচ্ছেন অনেকে। তাই বিস্ফোরণে প্রাণ হারাচ্ছে গ্রামবাসীরা বলে অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা। তবে একশো দিনের কাজের টাকা পেতে নানা নথি দিয়ে একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠি লিখছেন। রাস্তায় বসে ধরনা দিয়েছেন। তারপরও এই প্রকল্পে একটিও টাকা ঠেকায়নি কেন্দ্রীয় সরকার। এবার রাজ্যকে নতুন করে চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তার জেরে মনে করা হচ্ছে হয়তো এবার এই প্রকল্পের বকেয়া টাকা মিলবে।

ঠিক কী লেখা আছে চিঠিতে?‌ নবান্ন সূত্রে খবর, একশো দিনের কাজে যাঁরা যুক্ত তাঁদের মোবাইল নম্বর আপডেট করতে হবে। এই চিঠি হাতে পেতেই নবান্নের পক্ষ থেকে রাজ্যের প্রত্যেকটি জেলা প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে। এমনকী আগামী ৩১ মে’র মধ্যে এই কাজ শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, একশো দিন কাজের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত তাঁদের ফোন নম্বর যদি এনআরইজিএস পোর্টালে আপলোড করা না থাকে, তাহলে সেটা করে ফেলতে হবে। কেউ নম্বর পাল্টালে নতুন ফোন নম্বর আপলোড করতে হবে।

কেন এমন নম্বর আপলোড করতে বলা হচ্ছে?‌ বাংলায় ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে ১ কোটিরও বেশি জবকার্ড হোল্ডার রয়েছে। তাঁদের মোবাইল নম্বর আপলোড করলে সরাসরি নয়াদিল্লি থেকে কাজের বিষয়ে নানা তথ্য দেওয়া যাবে। এমনকী ভাতার বিষয়েও জানতে পারবেন কর্মীরা। আবার সরাসরি নিয়ন্ত্রণের কথাও উড়িয়ে দিচ্ছে না তৃণমূল কংগ্রেস। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই এই টাকা এবার ছাড়া হবে বলে মনে করছেন অনেকে। সেক্ষেত্রে মোবাইলে মেসেজ যাবে বলে সূত্রের খবর। ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। এই একশো দিনের কাজের টাকা আটকে রাখা হয়েছে বলেই এই মামলা দায়ের হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে। তার মধ্যেই কেন্দ্র থেকে এল নয়া নির্দেশ দিয়ে চিঠি।