১৫ ঘণ্টা পড়ে UPSC-তে দ্বিতীয় পিতৃহারা গরিমা, IAS হবেন বিহার কন্যা, জানুন তাঁর সাফল্য়ের রহস্য

ইউপিএসসি ২০২২। সেই পরীক্ষায় দ্বিতীয় হয়েছেন বিহার কন্যা গরিমা লোহিয়া। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী ইউপিএসসিতে সফল সমস্ত প্রার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। লোহিয়ার জন্য় গর্বিত গোটা বিহার। তিনি বিহারের গর্ব।

বক্সারের একটি ছোট্ট জনপদে বাড়ি গরিমার। কিন্তু স্বপ্নপূরণের জন্য় তিনি একদিন ঘর ছেড়ে বেরিয়ে পড়েছিলেন দিল্লির উদ্দেশ্য়ে। এরপর কঠিন পরিশ্রম। আর সেই পরিশ্রমের ফল পেলেন হাতেনাতে। ইউপিএসসিতে একেবারে দ্বিতীয় স্থানে তিনি। তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের কমার্স গ্র্যাজুয়েট। এনিয়ে তিনি দ্বিতীয়বার এই সর্বভারতীয় পরীক্ষা দিয়েছিলেন। আর দ্বিতীয়বারেই কেল্লা ফতে। জেনে নিন তাঁর সফলতার পেছনে কী রহস্য রয়েছে…

সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি জানিয়েছেন, কোভিডের লকডাউনের সময়ই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম সিভিল সার্ভিসের জন্য় প্রস্তুতি নেব। বাড়ি ফিরে নিজে পড়া শুরু করি। এরপর অনলাইনে পড়া শুরু করি। তবে প্রথমবার প্রিলিতেও পাশ করতে পারিনি। কিন্তু এরপর কঠোর পরিশ্রম করি। ভেবেছিলাম পাশ করব কিন্তু সেকেন্ড হব বুঝতে পারিনি।

কিন্তু কীভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন তিনি?

গরিমা জানিয়েছেন, এটা একেক জন্য় একেক রকম। তবে আমি ১৫ ঘণ্টা করে পড়তাম। প্রচুর বই পড়েছি ও অনলাইন স্টাডি করেছি। আমার পরিবার সবসময় পাশে ছিল। মা আমার সঙ্গে সবসময় জেগে থাকতেন।

২০১৫ সালে বাবা নারায়ণ প্রসাদ লোহিয়া প্রয়াত হয়েছিলেন। আর এই সুখের দিনে সেই প্রয়াত বাবার জন্য় তাঁর চোখে জল। আসলে এই সফলতার পেছনে বাবার আশীর্বাদ রয়েছে। সবসময় বাবার ছবি সঙ্গে রাখতাম। জানিয়েছেন গরিমা। 

বক্সার থেকে মাধ্য়মিক দিয়েছিলেন তিনি। এরপর তিনি বেনারস চলে যান। পরে দিল্লির কিরোরি মাল কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন। তিনি বলেন, একেবারে তৃণমূল স্তরের মানুষরা যে কষ্ট পান সেটা মেটানোর জন্য আইএএস হতে চাইতাম। আমি বিহারের সেবা করতে চাই। আমি এখান থেকে অনেক কিছু পেয়েছি। সেসব ফেরৎ দিতে চাই। তাঁর এই সাফল্য়ে গর্বিত বিহার, গর্বিত গোটা দেশ।