Nabanna: খাদিকুল বলছে বাজি কারখানা চলেছে পুলিশের মদতেই, পুলিশ সুপাররা বলছেন জানতাম না তো!

জেলায় কোথায় কোথায় বেআইনি বাজি কারখানা রয়েছে তা কেন জানেন না পুলিশ সুপাররা? নবান্নে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এই প্রশ্ন তুললেন রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য। বেআইনি বাজি তৈরি, মজুত ও বিক্রি বন্ধে এদিন একগুচ্ছ নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। জানিয়ে দিয়েছেন, বেআইনি বাজিতে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে চলবে প্রশাসন।

মঙ্গলবার দুপুরে নবান্নে ওই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে রাজ্য পুলিশের ডিজি ছাড়াও হাজির ছিলেন এডিজি আইনশৃঙ্খলা। ছিলেন রাজ্যের বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা। সেখানেই মনোজ মালব্য বলেন, জেলায় কোথায় কোথায় বেআইনি বাজি কারখানা রয়েছে তার খবর কেন নেই পুলিশ সুপারদের কাছে? অবিলম্বে সমস্ত জেলার বেআইনি বাজি কারখানার তালিকা তৈরির নির্দেশ দেন তিনি। একই সঙ্গে গ্রিন বাজির কারখানা বাদে সমস্ত কারখানা অবিলম্বে বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছেন মনোজ মালব্য। তিনি জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের তৈরি কমিটিকে বেআইনি বাজির কারখানার তালিকা জমা দিতে হবে পুলিশ সুপারদের। তার পর তালিকা ধরে পদক্ষেপ করবে পুলিশ ও প্রশাসন।

যদিও পুলিশের এই বৈঠককে চোখে ধুলো দেওয়ার চেষ্টা বলে দাবি করছে বিরোধীরা। তাদের দাবি, খাদিকুলে বিস্ফোরণের পর স্থানীয়রাই জানিয়েছেন, পুলিশের সঙ্গে মাসিক ৫০ হাজার টাকার চুক্তিতে বেআইনি ওই বাজি কারখানা চালাতেন ভানু বাগ। তাদের প্রশ্ন, জেলায় এরকম কয়েক শ বেআইনি বাজি কারখানা রয়েছে। তার পুরোটাই কি নিচুতলার পুলিশকর্মীরা হজম করে ফেলতেন? ওপরতলায় কি কিছুই পৌঁছত না?

বিরোধীদের দাবি, দায় ঝাড়তে বেআইনি বাজি কারখানার খবর তাদের কাছে ছিল না বলে দাবি করছেন পুলিশ সুপাররা। আসলে মোটা টাকার বিনিময়ে জেলায় জেলায় বেআইনি বাজি কারখানা চলেছে পুলিশের আশ্রয়েই।