বিজেপি সরকারের প্রস্তাবে সাড়া, ত্রিপুরার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়


কলকাতা : ত্রিপুরার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় । ত্রিপুরার বিজেপি সরকারের প্রস্তাবে সাড়া দিলেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক । কয়েকদিন আগে তাঁকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, আজ বিকেলে তাতে সবুজ সঙ্কেত দেন মহারাজ।

জানা গেছে, কয়েক দিন ত্রিপুরা সরকারের তরফে তাঁর কাছে প্রস্তাব আসে, তিনি ত্রিপুরার মুখ হবেন কি না অর্থাৎ তাঁকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। সৌরভের বাড়ি গিয়ে দেখা করেন ত্রিপুরার পর্যটনমন্ত্রী। এই প্রস্তাব আসার পর ত্রিপুরা সরকারের প্রতিনিধিদের কাছে কিছুটা সময় চেয়ে নেন সৌরভ। এরপর সাময়িক ভাবনা-চিন্তা এবং অনুরাগীদের সঙ্গে কথা বলার পর আজ সবুজ সংকেত দিয়ে দেন মহারাজ।

কঠিন সময়ে কীভাবে লড়াই করতে হয় তা তাঁর থেকে ভাল আর কে জানে ! ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক থাকাকালীন বারেবারে সেই প্রমাণ দিয়েছেন। পরবর্তীকালে ক্রিকেটের প্রশাসক পদেও নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন বারে বারে। এহেন লড়াকু সৌরভকে রাজ্যের মুখ করার প্রস্তাব দিয়েছিল ত্রিপুরার বিজেপি সরকার। তাতে মহারাজ হ্যাঁ বলার পর পর তাঁর রাজনীতিতে আসার সম্ভাবনা নিয়ে যে জল্পনা শুরু হবে তা বলাই বাহুল্য। কিন্তু, কেন এনিয়ে চর্চা হতে পারে?

২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে BCCI-এর প্রেসিডেন্ট নিযুক্ত হন সৌরভ। অমিত শাহের ছেলে জয় শাহ হন বোর্ড সচিব। তার পর থেকেই বিজেপি-র সঙ্গে সৌরভের সমীকরণ নিয়ে নানা তত্ত্ব সামনে আসতে থাকে, যা তুঙ্গে ওঠে ২০২১-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে। বিজেপি-র হয়ে প্রচারে এসে সৌরভের বেহালার বাড়িতে নৈশভোজ সারতে হাজির হন খোদ শাহ। হাসপাতালে যখন ভর্তি সৌরভ, সেখানেও বার বার ফোন করে খবর নেন শাহ। সৌরভ রাজনীতিতে আসবেন কিনা প্রশ্ন করলে, স্ত্রী ডোনা জানান, রাজনীতিতে এলেও খেলার মাঠের মতোই ভাল ফল করবেন স্বামী। তাতেই জল্পনা আরও জোর পায়। এমনকি বিজেপি-র তরফে সৌরভকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করা হতে পারে বলেও জোর গুঞ্জন ওঠে। কিন্তু ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি-র প্রচার ঘিরে যত হইহই ছিল, ভোটবাক্সে ততটা প্রভাব পড়েনি। তাতেই সৌরভের বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার খবরও ধীরে ধীরে থিতিয়ে যায়। বরং, আগেরবার দুর্গাপুজোর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্তিতে রেড রোডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঠিক পাশেই দেখা যায় সৌরভকে। সেখানে পরস্পরের প্রশংসাও করেন তাঁরা। আর তার পরই BCCI প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরানো হয় সৌরভকে।