Recruitment Scam: বন সহায়কের ২,০০০ চাকরি বাতিলের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল না ডিভিশন বেঞ্চ

রাজ্যে বন সহায়ক পদে ২০০০ জনের চাকরি বাতিল ও নতুন নিয়োগপ্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ চেয়ে দায়ের আবেদনের দ্রুত শুনানির আর্জি খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ও বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। প্যানেল থেকে শুধুমাত্র অযোগ্যদের বহিষ্কারের দাবি তুলেছিলেন বহিষ্কৃতদের একাংশ। তবে সেই আবেদনে কর্ণপাত করেনি আদালত।

গত ৩ মে বন সহায়ক পদে বেনিয়মের অভিযোগে ২০০০ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ২ মাসের মধ্যে নতুন নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশ দেন তিনি। তাতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন বহিষ্কৃতরাও। আদালতের নির্দেশে ১৯ মে নতুন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বন দফতর। এর পর সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। তাদের দাবি, বাতিল হওয়া প্যানেলে থাকা বৈধ প্রার্থীদের ফের পরীক্ষায় বসা থেকে নিষ্কৃতি দেওয়া হোক। বৃহস্পতিবার সেই মামলা হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চে উঠলে বিচারপতিরা কোনও নতুন নিয়োগপ্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ দিতে অস্বীকার করেন। এমনকী দ্রুত শুনানির আবেদনও খারিজ করে দেয় আদালত। এর ফলে বন সহায়ক পদে নিয়োগপ্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে হবে বনদফতরকে।

২০২০ সালে ২০০০ বন সহায়ক পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বন দফতর। তখন বনমন্ত্রী ছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযোগ, বেনিয়ম করে তৃণমূল নেতা ও বিধায়কদের সুপারিশের ভিত্তিতে বন সহায়ক পদে নিয়োগ করা হয়েছে। বিরোধীদের দাবি, বনসহায়কদের দিয়ে বনরক্ষীদের দায়িত্ব পালন করাতে চাইছে রাজ্য সরকার। কিন্তু তাদের বেতন ও অন্যান্য ভাতা অনেক বেশি হওয়ায় বেকার যুবকদের ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে তারা। তাও মাসে মাত্র ১০০০০ টাকা বেতনে।

বলে রাখি, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করতে গিয়ে বন সহায়ক পদে নিয়োগে যে দুর্নীতি হয়েছে তা স্বীকার করে নিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।